shono
Advertisement

যোগ্যতা প্রমাণে কড়া দাওয়াই, পথে নেমে আন্দোলন চায় বিজেপির নেতৃত্ব

অভিমানী নেতা-কর্মীদের কতজনকে সক্রিয় করা গিয়েছে, প্রতি মাসে তার হিসাব দিতে হবে।
Posted: 01:41 PM Jul 09, 2022Updated: 01:41 PM Jul 09, 2022

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়া দিল্লি: বঙ্গ বিজেপির (BJP Bengal) ক্ষমতাসীন নেতাদের যোগ্যতা প্রমাণে কড়া দাওয়াই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, রাস্তায় নেমে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে কী পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেইসঙ্গে পরিকল্পনা মোতাবেক বাস্তবে তা হয়েছে কিনা বা কোন কোন নেতা রাস্তায় নেমে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। বঙ্গ বিজেপিকে প্রতি মাসে দিল্লিতে এই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্য থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত পৃথক রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

সম্প্রতি, সব রাজ্যের সভাপতি ও সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির তরফে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করা হয়। বিশেষ করে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা ও অসংখ্য মিথ্যা মামলার অভিযোগ করেন বঙ্গের নেতারা। মামলা লড়তে গিয়েই আর্থিক সংকটে ভুগতে হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়। তবে সরকারের বিরুদ্ধে কেন নিচু থেকে ওপরতলা পর্যন্ত আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, সুকান্ত মজুমদার বা অমিতাভ চক্রবর্তীরা তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলে সূত্রের খবর।

[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, সোমবারই উদ্বোধন শিয়ালদহ মেট্রোর, জানুন কবে থেকে চালু যাত্রী পরিষেবা]

এদিন রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করা হয়। অনেক কর্মী মামলার ভয়ে রাস্তায় নামতে অস্বীকার করছে বলেও শীর্ষ দুই নেতার কাছে নালিশ জানান তাঁরা। দু’জনেই বঙ্গ নেতাদের কথা শুনে কড়া দাওয়াই বাতলে দেন। রাজ্য থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত যেখানে কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়েছে, সেখানে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে হবে। যদি করা না যায়, তাহলে কেন হয়নি তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিমানে বসে যাওয়া পুরনো নেতা-কর্মীদের কতজনকে সক্রিয় করা গিয়েছে, প্রতি মাসে তার হিসাব দিতে হবে। যাঁদের সক্রিয় করা সম্ভব হচ্ছে না, কেন তাঁদের রাস্তায় নামানো বা দলের সঙ্গে ফের যুক্ত করা যাচ্ছে না, তাও জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উৎসবের মরশুম কেটে গেলেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও শীর্ষ নেতৃত্ব ঘনঘন বাংলায় যাবেন।

[আরও পড়ুন: বিধানসভায় নিয়োগ ‘দুর্নীতি’তে সরব বিজেপি, পালটা জবাব স্পিকারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement