সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৩ মাস ধরে মেইতেই-কুকি সংঘর্ষ চলছে মণিপুরে। শত চেষ্টাতেও হিংসা থামতে পারেনি বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরামর্শে পদত্যাগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং। রাষ্ট্রপতি শাসন কায়েম হয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে। এই অবস্থায় শনিবার দিল্লিতে প্রথম বার কেন্দ্রের মধ্যস্ততায় মেইতেইদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় কুকিরা। বলা বাহুল্য, স্থায়ী শান্তির জন্য বহু প্রতিক্ষিত এই বৈঠক।
মেইতেই সম্প্রদায়ের ৬ জন প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। এই প্রতিনিধিরা অল মণিপুর ইউনাইটেড ক্লাব অর্গানাইজেশন এবং ফেডারেশন অফ সিভিল সোশাইটি অর্গানাইজেশনের সদস্য। অন্যদিকে কুকি সম্প্রদায়ের ৯ জন প্রতিনিধি রয়েছেন আলাপচারিতায়। বৈঠকে কেন্দ্রের মধ্যস্ততাকারীদের মধ্যে রয়েছেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর একে মিশ্র।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় মণিপুর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, অতীতেও মেইতেই এবং কুকি গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেছে কেন্দ্র। আলাদা করেও দুই সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। কেন্দ্রের মধ্যস্ততায় মেইতেই এবং কুকি প্রতিনিধিদের মধ্যে মুখোমুকি বৈঠকে হবে বলেও জানান শাহ। দিল্লিতে আজ সেই বৈঠক। যার দিকে তাকিয়ে মণিপুর-সহ গোটা দেশ।
আজকের বৈঠক নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে দুই তরফে। কেন্দ্রের মধ্যস্থতাকারী একে মিশ্র চূড়াচাঁদপুরে গিয়ে বৈঠক করা ও ইম্ফলে মেইতেইদের নেতাদের উপরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক চাপ বাড়ানোয় ২৩ মাস পরে বরফ গলল। যদিও আলোচনার জন্য তিনটি পূর্বশর্ত আরোপ করেছে কুকিরা। তার মধ্যে অন্যতম হল কুকি-জো অধ্যুষিত এলাকায় মেইতেই ব্যক্তিদের চলাচল করতে পারবেন না। অন্যদিকে কুকিরাও মেইতেই এলাকায় যাবেন না।