সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানায় নির্বিঘ্নে সরকার গড়বে কংগ্রেস। ম্যাজিক ফিগার তো বটেই, ৬৪টি পর্যন্ত আসন জিতবে হাত শিবির। নির্বাচনের পরে এমনটাই দাবি ছিল সাতটি বুথ ফেরত সমীক্ষায়। কিন্তু এক্সিট পোলের সেই পরিসংখ্যান ভুল প্রমাণিত হল ভোটগণনা শুরু হতেই। কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে অনেকখানি এগিয়ে গেল বিজেপি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৪৭টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে কংগ্রেস এগিয়ে ৩৫টি আসনে।
গত ৪ অক্টোবর এক দফায় নির্বাচন হয় হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা আসনে। তার পরে প্রকাশিত হয় একের পর এক এক্সিট পোল। হরিয়ানায় এককভাবে সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস, এমনটাই দাবি করা হয় সেখানে। ৭টি বুথ ফেরত সমীক্ষার সারমর্ম, হরিয়ানায় কম-বেশি ৪৯ থেকে ৬৪টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারে কংগ্রেস। অর্থাৎ ১০ বছর পরে হরিয়ানায় ফের ক্ষমতা দখল করবে হাত শিবির। এক্সিট পোলে জয়ের ইঙ্গিত মিলতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। ভোটগণনার আগেই দিল্লিতে শুরু হয় সেলিব্রেশন।
কিন্তু বেলা বাড়তেই ছবিটা পালটে যায়। ইভিএম খুলতেই এগিয়ে যেতে থাকে গেরুয়া শিবির। গণনার ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যেই ম্যাজিক ফিগার অর্থাৎ ৪৬টি আসনে এগিয়ে যান বিজেপি প্রার্থীরা। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি বলেন, "গত ১০ বছরে অনেক কাজ করেছে বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মনোহরলাল খট্টর যে সিস্টেম তৈরি করেছেন তাতে উপকৃত হয়েছেন হরিয়ানাবাসী। তৃতীয়বার সরকার গড়ে সেই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।" উল্লেখ্য, গতবার বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। জেজেপির সমর্থনে সরকার গড়ে তারা। তবে এবার একাই ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ার পথে পদ্মশিবির।
গণনা শুরু হতেই দিল্লিতে কংগ্রেসের দপ্তরে থেমেছে উৎসব। তবে হাল ছাড়তে নারাজ হাত শিবির। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা বলেছেন, "হরিয়ানায় একাই সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস। আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাব।" শেষ পর্যন্ত কার হাতে যাবে হরিয়ানা?