রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আসানসোল ও বালিগঞ্জে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে প্রার্থী বাছতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি (BJP)। আসানসোল বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। তাই খুব ভেবেচিন্তেই তারা প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চাইছে। আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বুধবার বা বৃহস্পতিবার দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। বালিগঞ্জে কোনও সেলিব্রিটিকে প্রার্থী করতে পারে গেরুয়া শিবির। তবে আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে কোনও সেলিব্রিটিকে প্রার্থী করা হবে কিনা তা নিয়ে অবশ্য দলের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।
বিজেপির একাংশ চাইছে আসানসোলে (Asansol) অগ্নিমিত্রা পাল, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, নির্মল কর্মকার বা সুব্রত মিশ্রর মধ্যে কাউকে প্রার্থী করা হোক। অগ্নিমিত্রা, জিতেন্দ্র কিংবা নির্মলরা পরিচিত মুখ। আসানসোল যেহেতু বিজেপির জেতা আসন। তাই হেভিওয়েট কাউকে সেখানে প্রার্থী করা উচিত বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব। অনেকে আবার চাইছে আসানসোলে দলের কোনও সেলিব্রিটিকে প্রার্থী করা হোক। তাহলে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হবে।
[আরও পড়ুন: গাড়িতে সাড়ে সাত কোটি টাকার হেরোইন পাচার! কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার দম্পতি-সহ ৪]
আর বালিগঞ্জ (Ballygunge) হচ্ছে বিজেপির দুর্বল মাঠ। তাই সেখানে যতটা লড়াই দেওয়া যায় সেটাই অনেক বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। একুশে বালিগঞ্জে প্রার্থী হওয়া লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছিলেন। এবার লোকনাথবাবু না দাঁড়াতে চাইলে কোনও সেলিব্রিটিকেও ভাবা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, সব নামই ভাবনাচিন্তার মধ্যে রয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব নাম ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
এদিকে, আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক করা হয়েছে যথাক্রমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। বালিগঞ্জের সঙ্গে কোনও পরিচিতি না থাকা সত্বেও সেখানে নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শান্তিপুরের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। আসানসোলের-সহ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে (Arjun Singh)। সেখানে ইলেকশন ইনচার্জ হয়েছেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।