টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: সংসার ভাঙার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল আগেই। ছিল দু’বার বিয়ের অভিযোগও। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করছেন বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি (Chandana Bauri)। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৃষ্ণ কুণ্ডুর প্রথম স্ত্রী রুম্পাদেবী। মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছিলেন চন্দনার প্রথম স্বামীও। সূত্রের খবর, এর পর থেকেই গ্রেপ্তারির আতঙ্কে ভুগছিলেন চন্দনা।
অভিযোগ, আগস্ট মাসের শেষের দিকে শালতোড়ার বিজেপির (BJP) কো-কনভেনার কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে ঘর ছাড়েন চন্দনা। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন চন্দনার প্রথম স্বামী শ্রাবণ বাউড়ি। গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কৃষ্ণের প্রথম স্ত্রী রুম্পাদেবীও। এর পর পুলিশ চন্দনাদের থানায় ডেকে পাঠায়। সেইসময় তাঁর প্রথম স্বামী শ্রাবণ চন্দনাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এর পর একাধিকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কৃষ্ণ। প্রতিবারই স্বামীর এ অবস্থার জন্য চন্দনাকে দায়ী করেছেন রুম্পাদেবী।
[আরও পড়ুন: ফের দুর্দান্ত অফার দিচ্ছে Jio, এক বছরের জন্য বিনামূল্যে পাবেন Disney+ Hotstar সাবস্ক্রিপশন]
পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই বিজেপি বিধায়কের (BJP MLA ) বিরুদ্ধে চাপ বাড়ছিল। এবার সেই চাপ কাটাতে সটান আদালতে হাজির হতে চলেছেন চন্দনা। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগের কোনওটাই জামিন অযোগ্য নয় বলে দাবি করেছেন আইনজীবীরা। ফলে এদিন দুপুরেই তিনি জামিন পেয়ে যেতে পারেন বলে খবর।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির ‘দ্বিতীয় বিয়ে’র খবর প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, তিনি সকলের অগোচরে গাড়িচালক তথা শালতোড়া বিধানসভার বিজেপির কো-কনভেনার কৃষ্ণকে বিয়ে করেছেন। তার পর থেকেই বিপত্তির শুরু। থানা পুলিশের পাশাপাশি চন্দনার বিরহে বারবার অসুস্থ হয়েছেন কৃষ্ণ কুণ্ডুও। ভরতি হাসপাতালে। গত সাতদিন খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন কৃষ্ণ কুণ্ডু। দিনরাত মদের নেশায় ডুবে থাকতেন তিনি। এরপর এদিন দুপুরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে BJP বিধায়কদের বৈঠকে আমন্ত্রণ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি, যোগ দিলেন না দিলীপ-শুভেন্দু]
রুম্পার কথায়, “আমার স্বামী পাগল হয়ে গিয়েছে। শুধু বলছে, চন্দনাকে আনব। চন্দনা যদি ওকে ভালবেসে বিয়ে করে থাকে, তাহলে তো এতদিনে খোঁজখবর করত। জানি না, কী হবে।” এদিকে কৃষ্ণর কথায়, “রাজনীতির স্বার্থে আমার আর চন্দনার মধ্যে ব্যবধান তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার দায়ী। দুর্নীতি করছে ওঁরা। এবার আমি ওঁদের মুখোশ খুলে দেব।”