শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: ঘাটালের বন্যা নিয়ে তারকা সাংসদকে দেবকে (Dev) কুরুচিকর ব্যক্তি আক্রমণে করে তৃণমূলের তোপের মুখে অভিনেতা-বিধায়ক হিরণ। তৃণমূলের অভিযোগ, ঘাটালের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেবকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন খড়গপুরের বিজেপি (BJP) বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। ঘাটাল শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে হিরণ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ঘাটালের বিধায়ক শীতল কপাট-সহ একাধিক বিজেপির নেতা-কর্মীরা। সেই সভাতেই ঘাটালের তারকা সাংসদ দেব সম্পর্কে বিধায়ক হিরণ কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলে ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের অভিযোগ। এমনকী, দেব সম্পর্কে হিরণের মন্তব্যের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন’। এরপর পালটা তাঁকেও আক্রমণের পথে হাঁটে তৃণমূল (TMC)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) হওয়া সেই ভিডিওয় দেবকে কটাক্ষ করে হিরণ বলেছেন, ‘‘সাংসদ হিসেবে প্রত্যেক মাসে মাইনে নেব। সাংসদ হিসেবে এখানে যা কাজ হবে, তার থেকে কাটমানি নেব। গরু চোর (Cattle Smuggling) এনামুল হকের কাছ থেকেও কাটমানি নেব। কাটমানি নিয়ে আমি সিনেমা করব। আর গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে মালদ্বীপে ছুটি কাটাতে যাব। আর ঘাটালের মানুষ জলের তলায় ডুবে থাকবে। আমি মালদ্বীপ গিয়ে গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে সুইমিং করব আর ঘাটালের মানুষ বন্যার সময় জলের তলায় সুইমিং করবে। ঘাটালে উন্নয়ন চাই। গত ৭৫ বছরে ঘাটালের মানুষকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: ‘দম থাকলে ভারত জোড়ো যাত্রা করুক বিজেপি’, রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে সরব শত্রুঘ্ন]
সাংসদ দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্না বলেন, ‘‘ওই ভিডিওটি আমি দাদার কাছে পাঠিয়েছি। একজন সিনিয়র অভিনেতা সম্পর্কে কী ধরনের মন্তব্য করতে হয়, তা জানা নেই হিরণের। আমি এই মন্তব্যর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, ”কে কী বলছেন ব্যক্তিগত ব্যাপার। দু’জনই একটা জায়গা থেকে এসেছেন। দু’জনই জনপ্রিয়। কিন্তু এটা নিয়ে কিছু কুরুচিকর কিছু বলা ঠিক নয়।”
[আরও পড়ুন: গুজরাট বিপর্যয় থেকে শিক্ষা, রাজ্যের কেবল ব্রিজগুলির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট চাইল নবান্ন]
স্বয়ং দেব অবশ্য হিরণের এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে হিরণের এহেন বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বেশ চাপানউতোর শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, রাজনৈতিক ইস্যুতে কেন তাঁর ব্যক্তিজীবন নিয়ে আক্রমণ করা হবে?