সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার মণিপুর (Manipur) ভাগের দাবি উঠল বিজেপির অন্দরেই। দলের সাত কুকি সম্প্রদায়ের বিধায়ক রাজ্য ভাগের দাবি তোলায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। সংবাদ সংস্থার খবর, তফসিলি জনজাতি কুকি-চিন সম্প্রদায়ের ১০ বিধায়কের দাবি, মেইতেই সম্প্রদায়ের রাজ্য মণিপুর বর্তমান পরিস্থিতির জেরে আর তাঁদের পক্ষে নিরাপদ নয়। এই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন রাজ্যের শাসকদল বিজেপির (BJP) সাত জন বিধায়ক। এই খবর চাউর হতেই অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবির।
বুধবার বিধানসভা স্বাধিকার রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান স্বপম নিশিকান্ত সিং ওই ১০ বিধায়ককে তড়িঘড়ি শোকজ নোটিস পাঠিয়েছেন। মণিপুরের প্রাচীন বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ শুরুর পরই গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে। কিন্তু মাস ঘুরলেও হিংসা থামেনি। বুধবার স্থানীয় জনতার আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক, কুকি জনজাতির নেতা ভুংজাগিক ভালতে। তার পরেই এই রাজ্য ভাগের দাবি।
[আরও পড়ুন: ‘প্রেমিকা নয়, ও আমার মেয়ের মতো’, আজব দাবি যুবতীর দেহ টুকরো করা মুম্বইয়ের প্রৌঢ়ের]
মণিপুর হিংসার রেশ পড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন উপজাতিদের একটা অংশ। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার মণিপুরে হিংসা রুখতে ব্যর্থ। কুকি বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য,”অমিত শাহর আশ্বাস সত্ত্বেও মণিপুরে আমাদের উপর হামলা হচ্ছে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের সাহায্য করতে পারেন।” মেতেইদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্লোগানও দেন তাঁরা।