চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সমর্থনে তৃণমূলকে আঙুল তুলে হুঁশিয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল মঙ্গলবারই টুইট করে দাবি করেন শুধু আগস্ট মাসে এ রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২২৩ টি, অপহরণের ঘটনার সংখ্যা ৬৩৯। এই ঘটনার পর তৃণমূলের (TMC) থেকে দাবি করা হয় ভুয়ো তথ্য দিচ্ছেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে বুধবার বাবুল বলেন, “একজন বলিষ্ঠ মানুষ জগদীপ ধনকড়। একজন বিখ্যাত আইনজীবীও। এই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তিনি। তাই তিনি এমন কোনও শব্দ উচ্চারণ করেন না যা অসাংবিধানিক। কিন্তু সংবিধানে আছে রাজ্যপাল যদি কোনও প্রশ্ন করেন তাহলে তার উত্তর মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে।” কার্যত হুমকির সুরে বাবুল তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমি আঙুল তুলে সাবধান করে দিচ্ছি ধনকড়জির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলার আগে দু’বার ভাববেন। উনি নিজের কৃতিত্বে, সম্মানের সঙ্গে আইনের কাজ করে গিয়েছেন। রাজ্যপাল চুপ করে বসে থাকবেন আর রাজ্যের মানুষের উপর অত্যাচার চলবে এটা হতে পারে না। উনি এক মিনিটও চুপ করে থাকবেন না।”
বুধবার বিকেলে আসানসোলের ২ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া কাল্লা মোড়ের জেলা বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনটি ছিল মূলত কৃষি আইনের স্বপক্ষে। আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) এদিন বলেন, “সংসদে পাশ হয়ে যাওয়া আইন নিয়ে দেশের মানুষ ও কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু, এইসব করে ভুল বোঝানো যাবেনা। স্বাধীনতার পরে অনেকটা সময় দেশে শাসন করেছে কংগ্রেস। তারা কি করেছে এই কৃষকদের জন্য ? মা ও ছেলে তো দেশের মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ভারত কৃষিপ্রধান দেশ। অথচ কংগ্রেস নিজেদের ভোটবাক্স ভরানোর জন্য কৃষকদের জন্য কিছু করেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কৃষকদের কথা ভাবেন। কেন্দ্র সরকার কিষাণ নিধি প্রকল্পে কৃষকদের ১৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে৷ এই বিলে ফঁড়ে বা দালালদের দৌরাত্ম্য কমবে। কৃষক তাদের ফসল নিজের ইচ্ছামতো যেখানে খুশি, যাকে খুশি বিক্রি করতে পারবেন।”
[আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত, সপ্তাহান্তে পুজোর প্রস্তুতি ভেস্তে দিতে পারে বৃষ্টি]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নির্দেশে একজন মন্ত্রী হিসাবে কৃষি আইন নিয়ে ছিল সাংবাদিক সম্মেলন। কিন্তু দেশের একজন মন্ত্রী হয়ে কেন দলীয় কার্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন ? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি সবকিছুর বাধ্যবাধকতা জানি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো নবান্নে বসে সরকারি অফিসারদের পাশে নিয়ে রাজনৈতিক কথা বলেন। আমি এখানে তা বলব না। সেই কারণে আমার পাশে দলের কাউকে রাখিনি।”