সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিধায়ক জয়রাম ঠাকুরের নাম সুপারিশ করল বিজেপি। রবিবার সিমলায় বিজেপির এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তাঁর নাম সুপারিশ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে দলের অন্দরে।
[ভগবানও ঠান্ডায় কাঁপছেন! হিটার বসল অযোধ্যার মন্দিরে]
হিমাচল প্রদেশে দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নির্মলা সীতারমণ ও নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন, ঐক্যমতে রাজ্যে বিজেপির শীর্ষ নেতা হিসাবে জয়রাম ঠাকুরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ উপস্থিত থাকবেন। গেরুয়া শিবিরে জল্পনা, সেদিন উপস্থিত থাকতে পারেন নরেন্দ্র মোদিও।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিজের নাম ঘোষণার পরই দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন জয়রাম। বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আমার উপর আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। প্রেম কুমার ধুমলকে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। আমি কৃতজ্ঞ দলের সমস্ত নেতা-কর্মীদের কাছে যাঁদের জন্য আজ আমি এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি।’ এর পাশাপাশি তাঁর নামে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ায় জেপি নাড্ডা ও শান্তাকুমারকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের হবু মুখ্যমন্ত্রী।
[লোকাল ট্রেনে এসি! দেশে প্রথম আরামের যাত্রা মুম্বইয়ে]
মুখ্যমন্ত্রী পদের বাছাই হিসাবে জেপি নাড্ডাও মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে ছিলেন। দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের দল ২১ ও ২২ ডিসেম্বর দফায় দফায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাই করেন। শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হয় জয়রাম ঠাকুরকে। রাজ্যের সেরাজ বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী চেত রামকে হারিয়ে বিজয়ী হন জয়রাম। তিনি রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন সাফল্যের সঙ্গে। ১৯৯৮-এ প্রথমবার মান্ডি থেকে দাঁড়িয়ে ভোটে জিতে মন্ত্রী হন জয়রাম। ধুমল, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবারের ভোটে হেরে যাওয়ায় তাঁর উপরে আর বাজি ধরছে না গেরুয়া শিবির। ধুমল অবশ্য মুখে বলছেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি আমি আর মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই না।’ সাম্প্রতিকতম নির্বাচনে ৬৮ আসনবিশিষ্ট হিমাচল বিধানসভার ৪৪টি আসনেই জিতেছে বিজেপি।
The post ধুমল জমানা অতীত, হিমাচলের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জয়রাম ঠাকুর appeared first on Sangbad Pratidin.