বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: বছর ঘুরলেই দেশের সবথেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা (Uttar Pradesh Assembly Election) নির্বাচন। সেখানে ক্ষমতা ধরে রাখাই যে বিজেপির সবথেকে বড় লক্ষ্য, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন থেকেই উত্তরপ্রদেশের জন্য ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের তফসিলি জাতি, উপজাতি থেকে শুরু করে সমাজের অগ্রসর শ্রেণি, বিজেপির ভাষায় দলিত-পীড়িত, বঞ্চিতদের ভোট ব্যাঙ্ক যে বড় অংশ জুড়ে রয়েছে, সেই হিসাব মাথায় রেখেই এখন থেকেই এক পা এক পা করে এগোতে চাইছে তারা।
বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) দলের সমস্ত মোর্চা সভাপতিদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করার পাশাপাশি এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে তফসিলি জাতি থেকে যে সমস্ত নেতারা মন্ত্রীপদ পেয়েছেন, তাঁদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও দীর্ঘ বক্তব্য রেখেছেন নাড্ডা। জাতিভিত্তিক এই ধরনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অতীতে বিজেপির মধ্যে কবে হয়েছিল সেকথা স্মরণ করতে পারেননি অনেকেই।
[আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: হকিতে পদক জয় যে কোনও ক্রিকেট বিশ্বকাপের থেকে বড়! বলছেন Gautam Gambhir]
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনই এই অনুষ্ঠানের কারণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে নাড্ডা মূলত কেন্দ্রের বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকারের আমলেই যে তফসিলি জাতির প্রতিনিধিরা সবথেকে বেশি সুবিধা পেয়েছেন, সেই সওয়াল করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক ডজন তফসিলি জাতির মন্ত্রী রয়েছেন। সেই বিষয়টিকেই সামনে তুলে ধরেছেন নাড্ডা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তফসিলি জাতি তথা দলিতদের জন্য কী কী কাজ করা হয়েছে. সেই বিষয় নিয়ে দলের নেতা, মন্ত্রী এবং পদাধিকারীদের মানুষের সামনে তুলে ধরার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। বিজেপির জমানায় কোনও পরিবার বা জাতির সঙ্গে বৈষম্য করা হয়নি এবং অন্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বড় বড় কথা বলা হলেও মোদি সরকারই কৃষক থেকে শুরু করে গরিব এবং দলিতদের জন্য সবথেকে বেশি কাজ করেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।