সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় বিজেপি। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে কর্মিসভার মঞ্চ থেকে গেরুয়া শিবিরকে দুষলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবি, হেরে গিয়ে বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে বিজেপি। আর বদনাম করার হাতিয়ার হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সি কাজে লাগাচ্ছে তারা। এভাবে তৃণমূলকে দমিয়ে রাখা যাবে না বলেও হুঁশিয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দলীয় নেতাকর্মীদের আরও ভাল করে কাজ করার বার্তাও দিলেন তিনি।
এসএসসি মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের (CBI) মুখোমুখি হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গরুপাচার কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে স্বেচ্ছায় সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। একের পর এক দলীয় নেতা-মন্ত্রীকে সিবিআই তলব নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপি পার্টি আজ তুঘলকি রাজত্ব চালাচ্ছে দেশে। কয়েকটা কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সি দিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চালাচ্ছে। কারও আজকে বেঁচে থাকার অধিকার নেই। স্বাধীনতার অধিকার নেই। নাগরিক অধিকার নেই। সব অধিকার খর্ব করে দিয়েছে। যত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে বিজেপির লোক ছাড়া কেউ যাবে না।”
[আরও পড়ুন: ঘনঘন বান্ধবী বদল, অনিয়ন্ত্রিত যৌন লালসায় সর্বনাশ পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিকের, মত মনোবিদদের]
নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিপিএমকেও (CPIM) দুষলেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, “বড় বড় কথা বলছে। আগে তো চিরকূট দিয়ে চাকরি করত। একটা চিরকূট দিয়ে ট্রান্সফার করত। সিপিএমের ৩৪ বছর আমি অনেক খোঁজ নিয়েছি। আস্তে আস্তে চ্যাপ্টার ওপেন করব। করিনি ভদ্রতা করেছি।” তিনি আরও বলেন, “কাজ করতে গেলে কেউ ভুল করলে সংশোধন করার সুযোগ দেওয়া উচিত। আইন আইনের মতো কাজ করা উচিত। গায়ের জোরে জুলুম করে বিজেপি যদি মনে তৃণমূলকে স্তব্দ করবে, তবে পারবে না। কারণ, তৃণমূল জব্দ করে, স্তব্ধ হয় না। এখানে হেরে গিয়ে ভয় পাচ্ছে। ২০২৪ এ লোকসভা জিততে হবে না? তাই এখন থেকে মিথ্যে কথা বলছে।”
দলীয় কর্মীদের দুর্নীতিমুক্ত থাকার বার্তাও দেন দলনেত্রী। কোনও প্রকল্পের নির্ধারিত টাকা না পেলে রাজ্যবাসীকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ তাঁর। এমনকি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন মমতা।