সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় রাজনীতির প্রচলিত কথা – উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লি তার। তাই ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। শেষ দফার প্রচারে গিয়ে ফের সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বারণসীতে (Varanasi) অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, ”বিজেপি এখানে হারলে, ২০২৪এর লোকসভা ভোটে দেশের ক্ষমতা থেকে সরে যাবে। আর সেটাই আমাদের লক্ষ্য। বিজেপিকে সমস্ত ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা।” মমতার উপস্থিতিতে বাড়তি উৎসাহ সমাজবাদী পার্টির অন্দরে। সভাশেষে তাঁকে এগিয়ে দিতে গিয়ে আশীর্বাদ নিলেন অখিলেশ যাদব।
এই মুহূর্তে জাতীয় স্তরে বিরোধী মুখ হিসেবে বারবার উঠে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে শান দিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো একাধিকবার এই রাজ্যে সফর করেছেন। গত মাসে লখনউ গিয়ে প্রচার করেছেন অখিলেশ যাদবের হয়ে। সেখান থেকে বিজেপির পতন আসন্ন বলে বিরোধী লড়াই আরও জোরদার করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, অখিলেশরাই পরবর্তী সরকার গড়বে। বারাণসী অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ফের সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন। সঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী – বিজেপি এখানে হারলে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে দেশের ক্ষমতাচ্যুত হবে।”
[আরও পড়ুন: খাবারের জন্য দীর্ঘ লাইন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের করুণ ছবি ধরা পড়ল মহাকাশ থেকে]
এদিনের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গেরুয়া বসনধারী যোগীর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ”উনি যোগী নন, ভোগী। উনি সাধুসন্তদের অপমান করছেন। উত্তরপ্রদেশে সৌন্দর্যায়নের নামে গঙ্গার ধারের ঐতিহ্য় নষ্ট করা হয়েছে। তবে অখিলেশদের জোট সরকার এলে এখানে প্রকৃত উন্নয়ন হবে। ” সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এও জানান, অখিলেশ যাদব জিতলে, এসপি জিতলে, তিনি শপথ অনুষ্ঠানে ফের উত্তরপ্রদেশে আসবেন। প্রসঙ্গত, বারাণসী প্রধানমন্ত্রী মোদির কেন্দ্র। সেখানে দাঁড়িয়ে বিজেপির ক্ষমতাচ্যুত সম্পর্কে মমতার ভবিষ্যদ্বাণী অন্য মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।