সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দিনে রাজ্য সফর সেরে শুক্রবার রাতে অমিত শাহ কলকাতা ছাড়ার পরই আক্রান্ত বিজেপি যুব মোর্চা (BJYM) সদস্যরা। রাতেই উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়ায় দুই যুব মোর্চা সদস্যের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। শ্মশানে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। আহত হয়ে দু’জনই আপাতত কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দা করে ঘটনার খবর জানিয়েছেন বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পাণ্ডা। মারের পালটা দেওয়ার হুঁশিয়ারি বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কাঁচড়াপাড়ার বাসিন্দা সুকান্ত এবং শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় নামে দুই ভাই এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। তাঁরা উভয়েই যুব মোর্চার সদস্য। শুক্রবার গভীর রাতে এক বন্ধুর বাবার শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে গিয়েছিলেন সুকান্ত ও শান্তনু। অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ”রাতে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনীর প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আমাদের উপর আচমকা চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। আমরা বিজেপি যুব মোর্চার সদস্য, সেটাই আমাদের অপরাধ।” যদিও ঘটনায় এখনও পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব যদিও অভিযোগ উড়িয়ে পালটা দাবি করেছে, ওই হামলার ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নন, বরং তা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বেরই ফল।
[আরও পড়ুন: প্রায় ৮ মাস বন্ধ লোকাল ট্রেন, পুরনো মান্থলির মেয়াদ বাড়িয়ে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ করবে রেল]
ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করেছেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পাণ্ডা। তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নজরে আনতে চান। এমনিতেই উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট উত্তেজনা প্রবণ। অর্জুন সিং তৃণমূল থাকাকালীন যেমন অহরহ ছোট-বড় রাজনৈতিক সংঘর্ষ লেগেই থাকত, এখন তিনি দলবদল করে বিজেপি সাংসদ হওয়ার পরও সেই অশান্তির পরিবেশের কোনও উন্নতি হয়নি। রাজ্য সফরে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রতি যথেষ্ট ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আর ঠিক তারপরই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা পরিস্থিতি আরও জটিল করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
দেখুন ভিডিও: