বাবুল হক, মালদহ: জেলা সফরে এসে এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বঞ্চিতদের ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার মালদহের ভূতনির চরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বঞ্চিতদের কথা না শুনে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে পড়েন মন্ত্রী। এর পরই শুরু হয় বিক্ষোভ। কেন্দ্রের রাষ্ট্রীয় মন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনদিনের জেলা সফরে মঙ্গলবারে মালদহে এসেছেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল। বুধবার দুপুরে গঙ্গা ও ফুলহার নদী ঘেরা ভুতনি চর এলাকায় ভাঙন দুর্গত ও সাধারণ মানুষের সমস্যা পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী ও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। ভূতনি চরের উত্তর চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে আগে থেকেই মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গ্রামবাসীদের উপেক্ষা করে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসবেন না’, বেফাঁস পাঁচলার বিধায়ক]
এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভুতনি চরের বাসিন্দারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পঞ্চায়েত অফিস থেকে বের হতেই তাঁকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিতে থাকেন গ্রামবাসীরা। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের পঞ্চায়েত মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিলকে কালো পতাকা দেখানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবাস যোজনা বঞ্চনা, গঙ্গার ভাঙন পরিদর্শন-সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ হয়।
যদিও এদিন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, “গ্রামবাসীরা অভাব-অভিযোগ জানায়নি। শুধুমাত্র গঙ্গার ভাঙন নিয়ে তাঁদের সমস্যা রয়েছে। সে কথা জানিয়েছে। বিষয়টি রাজ্য কেন্দ্রকে জানাক, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।” এদিকে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে রাজ্য়বাসীর কাছে সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে যায়। কিন্তু সবসময় কেন্দ্রবিরোধী মনোভাব নিয়ে চললে তো মুশকিল। রাজ্য়বাসী সমস্যায় পড়ছে। রাজ্য়ে দুর্নীতি হয়েছে, তাই তারা হিসেব দিতে পারছে না। তাই কেন্দ্র টাকা পাঠাচ্ছে না।” পালটা তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “কেন্দ্র তো খেতে দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে কেন্দ্র। বাংলার নিন্দা করার আগে ওরা জবাব দিক, ৫ বছর পর কেন টাকা এল?”