সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড (George Floyd) হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মার্কিন পুলিশকর্মী ডেরেক চৌভিন। কিন্তু অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে মার্কিন আদালত দোষী সাব্যস্ত করার ঘণ্টাখানেক আগেই আমেরিকার মাটিতে ফের রক্ত ঝরল এক কৃষ্ণাঙ্গের। আমেরিকার ওহাইও প্রদেশের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরীর (Black Teen)।
আমেরিকায় (US) বর্ণবৈষম্য ও পুলিশি জুলুমের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু এই মুহূর্তে নতুন করে সেদেশে মাথাচাড়া দিয়েছে এমন অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে উত্তাল প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন অনেকেই। এমনই আবহে জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে আদালত। তার মধ্যেই ফের ঘটে গিয়েছে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু। যাকে ঘিরে ফের পুঞ্জীভূত প্রতিবাদ।
[আরও পড়ুন: মায়ানমারে গ্রেপ্তার জাপানের সাংবাদিক, জুন্টার উপর চাপ বাড়াল টোকিও]
ঠিক কী ঘটেছিল? ওহাইও (Ohio) প্রদেশের কলম্বাস শহরের পুলিশের মুখ্য অফিসার মাইকেল উডস জানিয়েছেন, আপৎকালীন ৯১১ নম্বরে একটি ফোন আসে। সেই ফোনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। তখনই নজরে আসে দুই কিশোরীর মধ্যে একটা বচসা চলছে। আশপাশে ভিড়ও জমেছে। এই সময় দেখা যায়, একজন কিশোরী অন্যজনের দিকে ছুরি জাতীয় কোনও অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এরপরই ওই কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। ঘটানস্থলেই লুটিয়ে পড়ে তার প্রাণহীন দেহ। এক পুলিশ অফিসারের গায়ে পরা ক্যামেরায় ঘটনার যে দৃশ্য ধরা পড়েছে তা শেয়ার করেছে শহরের পুলিশ। জানা গিয়েছে নিহত কিশোরীর নাম মাখাইয়া ব্রায়ান্ট। তার বয়স ছিল ১৬।
এক নাবালিকার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন কলম্বাসের মেয়র। তিনি জানিয়েছেন, গোটা শহরের জন্যই এটা এক বিষণ্ণতার দিন। সকলকে ওই কিশোরীর পরিবারের জন্য প্রার্থনা করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সেই ছুরিটি উদ্ধার করেছে, যেটি ওই কিশোরীর হাতে ছিল বলে দাবি। যদিও তার মা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ে ছিল শান্তিকামী মানসিকতার।