সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর এবার বজবজ থানার অন্তর্গত নন্দরামপুর দাসপাড়ায় বেআইনি বাজি কারখানার গোডাউনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। আহত একাধিক।
ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে বজবজ ESI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বজবজ তদন্ত কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দরামপুর, দাসপাড়ায় জয়দেব ঘাঁটির বাড়ির ছাদে হঠাৎই ভয়ংকর বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের জেরে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়। জয়দেবের স্ত্রী পম্পা ঘাটি (৪৫), পম্পার মা যমুনা দাস (৬৫) এবং পম্পার মেয়ে জয়শ্রী ঘাটি (১০) বিস্ফোরণে প্রাণ হারান।
[আরও পড়ুন: ‘বাঁশ-কঞ্চি নিয়ে দৌড় করান’, বসিরহাটের জনসভা থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি নুসরতের]
ঘটনাস্থলে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা এলেও তাঁদেরকে প্রথম অবস্থায় বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে যান। পাশাপাশি কেউই এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি। ঘটনাস্থলে পৌঁছান ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তিনি।
তবে দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এলেও রাস্তা অতিরিক্ত সরু হওয়ায় দমকলের ইঞ্জিনগুলিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়দের চেষ্টাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তাই দমকল কর্মীরা শুধুমাত্র কুলিং প্রসেস ছাড়া আর কোনও করেননি। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দমকল বাহিনীর যদিও দাবি, কারখানায় বাজির মশলা মজুত ছিল না। তবে প্রশ্ন উঠছে, বেআইনি কারখানায় কাজের জন্য এগরার যেভাবে বিস্ফোরণে প্রাণ হারাতে হল মহেশতলার এই কারখানার শ্রমিকদের, তার দায় কে নেবে?