সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রমজানেও সন্ত্রাসবাদী হামলায় রক্তাক্ত আফগানিস্তান (Afghanistan)। শুক্রবার রাজধানী কাবুলের একটি মসজিদে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা চালায় জেহাদিরা। বিস্ফোরণে নিহত কমপক্ষে ৫০ জন নিরীহ মানুষ। আহত অন্তত ৭৮ জন।
[আরও পড়ুন: সৌদি মসজিদে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজকে ঘিরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান, ভাইরাল ভিডিও]
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র বিসমিল্লা হাবিব রয়টার্সকে জানান, শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত দু’টো নাগাদ পশ্চিম কাবুলের খলিফা সাহেব মসজিদে এই হামলা ঘটেছে। সূত্রের খবর, কাবুলের পশ্চিমাংশে অবস্থিত সুন্নিদের এই মসজিদে রমজানের পর ‘জিকর’ নামের একরী ধর্মীয় সভার জন্য জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। বিশ্লেষকদের মতে, ‘জিকর’-কে ইসলামের পরিপন্থী বলে মনে করে সুন্নি মৌলবাদীদের অনেকেই। ফলে এই হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেট (খোরাসান) জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই হামলার নিন্দায় সরব হয়েছে আমেরিকা ও রাষ্ট্রসংঘ।
গত কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। এসব হামলায় প্রায় ১০০ নিরীহ আফগান নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিয়া মুসলিমদের মসজিদগুলিকে নিশানা করেছে আল কায়দা ও আইএসয়ের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি। তবে জেহাদিদের হাত থেকে দেশটির সংখ্যাগুরু সুন্নি সম্প্রদায়ের লোকজনও যে সুরক্ষিত নন, তার সর্বশেষ উদাহারণ কাবুলের খলিফা সাহেব মসজিদ। বলে রাখা ভাল, গত ২৩ এপ্রিল কুন্দুজের একটি সুন্নি মসজিদে বোমা হামলা হয়েছিল, তাতে নিহত হয়েছিলেন ৩৩ জন।
কাবুলের মসজিদে হামলার দায় এখনও কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা অধিকারিকদের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (ISIS) আফগানিস্তান শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে) এই হামলার জন্য দায়ী। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তারপর থেকেই দেশটির বিভিন্ন মসজিদে একের পর এক বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তালিবানের প্রধান প্রতিপক্ষ আইএস-কে।