সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের। সাম্প্রতিক সময়ে পালটা মারের তীব্রতা বাড়িয়েছে কিয়েভ। ফলে বদলে যাচ্ছে রণক্ষেত্রের ছবি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনের ত্রাতা হয়েছে আমেরিকা। অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে জেলেনস্কি বাহিনীকে শক্তি জোগাচ্ছে হোয়াইট হাউস। এই আবহে ‘কাউন্টার অফেন্সিভ’-এর তীব্রতা কতটা ধরে রেখেছে তা খতিয়ে দেখতে কিয়েভ পৌঁছলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
এ বিষয়ে এক মার্কিন শীর্ষকর্তা বলেন, ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রী দিমিত্র কুলেবারের সঙ্গে দেখা করেছেন ব্লিঙ্কেন। এরপর মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, “আমি ইউক্রেনের নেতৃত্ব, সেনাবাহিনী ও এ দেশের নাগরিকদের সাহসিকতা দেখে অভিভূত। ইউক্রেনীয় সেনার পালটা আক্রমণের ধারা দেখে আমি আপ্লুত। আমরা নিশ্চিত করতে এই ‘কাউন্টার অফেন্সিভ’ যেন দীর্ঘস্থায়ী হয়।” তিনি আরও বলেন, “আমি চাই ইউক্রেনে শক্তিশালী অর্থনীতি ও গণতন্ত্র গড়ে উঠুক। এর জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।” জানা গিয়েছে, ব্লিঙ্কেনের এই সফরের পর ফের বড় অঙ্কের সামরিক সাহায্য ঘোষণা করতে পারে আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: ‘সম্পর্ক স্থিতিশীল’, জিনপিং জি-২০ সামিট এড়ালেও কৌশলী বার্তা চিনের]
সিএনএন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার কিয়েভে পৌঁছেছেন ব্লিঙ্কেন। ইউক্রেনের রাজধানীতে পৌঁছে মার্কিন বিদেশ সচিব প্রথমে যান সেনাবাহিনীর সমাধিস্থলে। যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার লড়াইয়ের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু বাখমুট পরিদর্শনে গিয়েছেন জেলেনস্কি। সেই সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেবেন ব্লিঙ্কেনকে।
সম্প্রতি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘নিষিদ্ধ’ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে বিতর্কে জড়িয়েছিল ইউক্রেন। কিয়েভকে এই ভয়াবহ হাতিয়ার দিয়েছিল আমেরিকাই। ক্লাস্টার বোমা এতটাই ভয়ংকর যে বিশ্বের ১২০টি দেশ এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। অস্ত্র রপ্তানি সংক্রান্ত কড়া আইনের ফাঁক গলে মস্কোর বিরুদ্ধে এই ‘রণকৌশল’ নিয়েছে হোয়াইট হাউস।