দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়াদিল্লি: আবারও সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন রাজীব কুমার৷ আইনি সুরক্ষার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে৷ কিন্তু তাও খারিজ হয়ে গেল৷ শীর্ষ আদালতের জেনারেল সেক্রেটারি জানিয়ে দিলেন, জরুরিভিত্তিতে শুনানির জন্য ৩ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করা সম্ভব হয়৷ মঙ্গলবারের এই রায়ে ১৭ মে শীর্ষ আদালতের রায়ই বহাল রইল৷
[আরও পড়ুন: একযাত্রায় পৃথক ফল, ঘরে ফিরেও দুই সহযাত্রীকে হারানোর বেদনায় স্তব্ধ রুদ্রপ্রসাদরা]
এই সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে রাজীব কুমারের আইনি রক্ষাকবচের মেয়াদ৷ তারপর তাঁকে তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার করতে পারবে সিবিআই৷ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজীব কুমার যে বড়সড় ধাক্কা খেলেন, তা বলাই বাহুল্য৷ আর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে হাই কোর্টে যাতে দ্রুত আগাম জামিনের আবেদন করা যায়,সেই পথে পা বাড়িয়েছেন তিনি৷ কিন্তু সেখানে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলতে থাকায় তাঁর কাজ হয়নি৷
গত শুক্রবার সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে রাজীব কুমারের গ্রেপ্তারির অর্ন্তবর্তী রক্ষাকবচ সরিয়ে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে এবিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাঁকে সাতদিনের সময়ও দেওয়া হয়। জানানো হয়, এই কয়েকদিনের মধ্যে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারবেন কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল। কিন্তু, হাওড়া আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে পুরকর্মীদের মারামারির পর থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন রাজ্যের আইনজীবীরা। ফলে থমকে আছে আদালতের যাবতীয় কাজ। তাই সোমবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে সময়সীমা আরও সাতদিনের জন্য বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার।
[আরও পড়ুন:বিদায় বাংলার জনপ্রিয় কল্পবিজ্ঞান কাহিনিকার অদ্রীশ বর্ধন! শোকস্তব্ধ সাহিত্য জগৎ]
সারদাকাণ্ডে প্রথমে আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার আগে পর্যন্ত তদন্ত চালিয়েছে রাজ্য সরকারের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, সিট যখন সারদাকাণ্ডে তদন্ত করছিল, তখন প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন রাজীব কুমার। সিবিআইয়ের তদন্তকারীর আধিকারিকদের সঙ্গেও সহযোগিতা করেননি তিনি। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। বস্তুত, কলকাতায় যখন রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছিলেন তদন্তকারীরা, তখন রীতিমতো বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এনিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত৷ শীর্ষ আদালতের নির্দেশে শেষপর্যন্ত শিলং-এ রাজীবকে সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হতে হয়।