সুকুমার সরকার, ঢাকা: ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও থামার নাম নেই হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। হামাস জঙ্গিদের নিঃশেষ করে দিতে গোটা গাজা ভূখণ্ড কার্যত গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ প্যালেস্তিনীয়রা। ইতিমধ্যেই গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এবার এই রক্তপাত থামাতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ চাইল বিএনপি।
জানা গিয়েছে, রবিবার ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতারের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু রোখার জন্য রাষ্ট্রসংঘকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানান। এমনকী প্যালেস্টাইনের সমস্যা সমাধানের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের উপরও জোর দেন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, আমেরিকার চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন। এছাড়াও চিন, ভারত, পাকিস্তান, নরওয়ে, সুইডেন, নেপাল-সহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা। ছিলেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকেরাও।
[আরও পড়ুন: পাবনার বাসিন্দা জাস্টিন ট্রুডো! আজব নথিতে কর্তাদের শোকজ তদন্ত কমিটির]
বলে রাখা ভালো, চলতি মাসে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে গাজায় বিপুল ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। মিশরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের মাধ্যমে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছিল আরও ৮টি দেশ। এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের তরফে বলা হয়েছিল, গত ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যত টন ত্রাণ পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে এটি বৃহত্তম। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, আমেরিকা, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চিন, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া এবং জার্মানি গাজার মানুষদের ত্রাণ পাঠিয়েছিল।
অন্যদিকে, এদিনের অনুষ্ঠানেও শাসক দল আওয়ামি লিগকে তোপ দাগেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন,”বাংলাদেশ একটা গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট পড়েছে। দেশে একটা ‘ফ্যাসিস্ট রেজিমের’শাসন চলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ গত ৭ জানুয়ারি একটি নির্বাচন করেছে, যে নির্বাচনের দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি।” তিনি দাবি করেন, নির্বাচনে নির্লজ্জ কারচুপি, অনিয়ম, ক্ষমতাসীনদের তৈরি করা হিংসার চিত্র এবং দেশজুড়ে নির্বাচনী কারসাজির চিত্র গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, আলোকচিত্র ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি ইফতারে অংশ নেওয়া কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা জানান।