টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: রবিবার সাতসকালে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ায় (Bankura)। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ দেহটি উদ্ধারে করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত পুলিশ। কিন্তু কী কারণে এই নৃশংস হত্যালীলা, সে বিষয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
জানা গিয়েছে, মৃত বছর পঁচিশের ওই যুবকের নাম রাজীব দেঘরিয়া। বাড়ি বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর শিব মন্দির এলাকায়। মৃতের বাবা বৈদ্যনাথ বাবুর অভিযোগ, গত শনিবার রাতে তিন যুবক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর ছেলেকে। তারপর থেকে আর সে বাড়ি ফেরেনি। রবিবার সকালে রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় দামোদরের ঘাটে। যুবকের মাথায় গভীর ক্ষত ছিল। মাথার পিছনের ক্ষততে কাচের বোতল ভেঙে ঢুকিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। সেখান থেকে রক্তক্ষরণের কারণেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন সকালে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর আগে পুলিশ কুকুর এনে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে।
[আরও পড়ুন: রবিবার ডায়মন্ড হারবারে সভা অভিষেকের, দেবেন শুভেন্দু-সহ বিজেপির সব অভিযোগের জবাব]
উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই ঘটনাস্থলের কয়েক কিলোমিটার দূরে গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে একটি নবনির্মিত মন্দিরের সামনে থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সোমনাথ দে নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই খুনের ঘটনার পেছনে বেআইনি মাদক চোরাচালান কারবারীদের যোগসুত্র মিলেছিল। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে। ফের দামোদর নদীর ঘাটে এহেন নৃশংস হত্যার সঙ্গে কি সোমনাথ খুনের যোগ রয়েছে? বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এবিষয়ে জেলা পুলিশসুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “মৃত উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তদন্ত শুরু করেছে আমরা।”