তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গিয়েছে চাকরি। তার কিছুদিনের মধ্যেই ঘর থেকে উদ্ধার চাকরিহারা যুবকের দেহ। কীভাবে মৃত্যু? আত্মহত্যা নাকি অন্যকিছু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়া এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম দিলীপ বিশ্বাস। আদতে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা তিনি। প্রায় ১৪ বছর ধরে শিলিগুড়িতে ভাড়া থাকতেন দিলীপ। প্রথমে এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে চাকরি পান। স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল জীবন। এরই মাঝে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় বঙ্গে। বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছিল যাঁদের, তাঁদের অনেকেরই চাকরি গিয়েছে। সেই তালিকায় নাম ছিল কোচবিহারের স্কুলে চাকরিরত দিলীপের।
[আরও পড়ুন: OMR শিটে ১, সার্ভারে ৫৭! দেদার কারচুপি SSC’র গ্রুপ সি’র নম্বরে, প্রকাশ্যে তালিকা]
এরপরই সোমবার সকালে দিলীপের রহস্যমৃত্যু। ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। চাকরি হারানোর পরই এই মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকের প্রশ্ন, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক? যদিও মৃতের এক সহকর্মী জানিয়েছেন, রবিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দিলীপ। যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মৃত যুবক সেখানকার মালিক জানিয়েছেন, দিলীপের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকত্ব দেখতে পাননি তাঁরা। ফলে কীভাবে মৃত্যু হল যুবকের, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।