অর্ক দে, বর্ধমান: ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার রবীন্দ্রসঙ্গীত গবেষকের পচগলা দেহ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকায়। মৃতের নাম মানস বসু। বয়স সত্তরের কাছাকাছি ছিল বলেই জানা গিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নীলপুরের বাড়িতে একাই থাকতেন মানস বসু। রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে চর্চা, গবেষণা করতেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গবেষকের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। প্রথমে মনে করা হয়েছিল কোনও প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গন্ধ বাড়তে থাকে।
[আরও পড়ুন: অবসর নিলেন তাপসীর স্বামী ম্যাথিয়াস, প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন কোচকে ঘর মোছার নির্দেশ অভিনেত্রীর! ]
শোনা গিয়েছে, দুর্গন্ধ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় নিরাপত্তারক্ষীর সন্দেহ হয়। জানা যায়, গবেষকের ঘর থেকেই এই গন্ধ ছড়াচ্ছে। ডাকাডাকিতে সাড়া না মেলায় পুলিশকে ফোন করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। সেখানে মানস বসুর পচাগলা দেহ দেখতে পান।
খবর জানাজানি হতেই এলাকায় প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রবীন্দ্রসঙ্গীত গবেষকের দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শুক্রবার শেষবার মানসবাবুকে বাড়ির বাইরে দেখা গিয়েছিল। কয়েকদিন আগে বর্ধমান সঙ্গীতমেলার অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার পর আচমকা কীভাবে এই মৃত্যু? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই নাকি স্থানীয়দের কাছ থেকে গবেষকের বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁর আত্মীয় এবং বন্ধুদেরও প্রশ্ন করা হতে পারে। এর পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর।