অর্ণব দাস, বারাসত: সাতসকালে বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার নির্মীয়মাণ বাড়ি। জখম ২ শ্রমিক। ঘটনাকে কেন্দ্র তীব্র চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা এলাকায়। কীভাবে বোমা এল বাড়িতে? পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্যই কী মজুত করা হয়েছিল বোমা? এহেন একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও ওই পঞ্চায়েত সদস্যার দাবি, তাঁকে বদনাম করার জন্যই এই চক্রান্ত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্যার দাদাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা সহি সুলতানা। চাঁদপুর এলাকায় তাঁর একটি বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। অন্যান্যদিনের মতোই রবিবার সকালেও কাজে যান রাজমিস্ত্রিরা। আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। জানা যায়, রাজমিস্ত্রিরা কোদাল দিয়ে সিঁড়ির নিচের অংশ পরিষ্কার করতেই বিপত্তি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় জখম হন ২ শ্রমিক। শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে দেখেন, জখম অবস্থায় পড়ে শ্রমিকেরা।
[আরও পড়ুন: সিউড়ির যুবক খুনের ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা বিরোধীদের, ‘গ্রাম্য বিবাদ’, দাবি শাসকদলের]
এরপরই খবর যায় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে আরও ৩ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। লেগেছে রাজনীতির রংও। যদিও পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী আবদুল হাকিম মোল্লা জানান, তিনি বাড়ি তৈরি করছিলেন। পরিকল্পনামাফিক কেউ বা কারা এই বোমাগুলো রেখে গিয়েছে। স্রেফ তাঁদের বদনাম করতে এই ঘটনা। বোমাগুলো কারা রেখেছিল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, এদিন বসিরহাটের মাটিয়া থানা এলাকায় চলন্ত বাইকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, বোমা নিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে কী কারণে ওই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, নেপথ্যে কে রয়েছে তা জানার চেষ্টায় পুলিশ।