সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে তৈরি হবে অত্যাধুনিক ব্রহ্মস মিসাইল (Brahmos Missile)। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় ফৌজের অন্যতম ঘাতক হাতিয়ার।
মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে লখনউয়ে ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর হিসেব মতে এর ফলে প্রায় ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া, লখনউয়ের সমস্ত ঘরে পিএনজি কানেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বলে রাখা ভাল, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তর আগেই বড়সড় ঘোষণা করলেন রাজনাথ সিং।
[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, মৃত ডিএমকে বিধায়কের পুত্র, পুত্রবধূ-সহ ৭]
বিশ্লেষকদরের মতে, কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে দলিত নিপীড়নের ঘটনায় ব্যাকফুটে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার আসরে নেমেছে বিজেপির নির্বাচন কৌশলীরা। লখনউয়ে ব্রহ্মস মিসাইলের কারখানা ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি গেরুয়া শিবিরের নির্বাচনী কৌশলের প্রতিফলন। বর্তমানে হায়দরাবাদে ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি হয়। বিগত বছর দুয়েক থেকে উত্তরপ্রদেশকে প্রতিরক্ষা সরোজম তৈরির কেন্দ্র করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ।
উল্লেখ্য, ভারত ও রাশিয়া (Russia) যৌথভাবে ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি করেছে। চিনের সঙ্গে ক্রমে বেড়ে চলা সংঘাতের গত বছর বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইলকে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সবুজ সঙ্কেত দেয় সরকার। এর ফলে নিরাপদ দূরত্ব থেকে চিনা সামরিক ঘাঁটি বা বিমান গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। ব্রহ্মস ঘণ্টায় ৩৭০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে গিয়ে আঘাত হানে লক্ষ্যবস্তুতে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানা নিখুঁত। ২০০৬ সালে স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় এটি। প্রাথমিকভাবে এর মারণ ক্ষমতা ২৯০ কিলোমিটার থাকলেও পড়ে তা ৪৫০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। ভারত (India) ও রাশিয়া (Russia) যৌথভাবে ব্রহ্মস তৈরি করে ফেলার পর গোটা বিশ্বের সমর বিশারদদের নজর কেড়ে নিয়েছে এই ক্রুজ মিসাইল। কয়েক দিন আগে জানা গিয়েছিল, ফিলিপন্সকে যৌথভাবে ব্রহ্মসের জোগান দিতে চলেছে দুই দেশ। শুধু ফিলিপিন্স নয়, ইন্দোনেশিয়া-সহ মধ্য এশিয়ার একাধিক দেশকেও এই মিসাইলটি দেওয়া হবে।