shono
Advertisement
Chhattishgarh High Court

কুমারীত্ব পরীক্ষা অসাংবিধানিক, নারীর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে: ছত্তিশগড় হাই কোর্ট

বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় পর্যবেক্ষণ ছত্তিশগড় হাই কোর্টের।
Published By: Kishore GhoshPosted: 02:55 PM Mar 29, 2025Updated: 04:52 PM Mar 29, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুমারীত্ব পরীক্ষা অসাংবিধানিক। এই পরীক্ষা নারীর অধিকার ও মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় পর্যবেক্ষণ ছত্তিশগড় হাই কোর্টের। মামলাটিতে স্বামী এবং স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। স্ত্রী দাবি করেন, স্বামী পুরুষত্বহীন বলেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, কুমারীত্ব পরীক্ষা করে দেখা হোক স্ত্রীর। যদিও স্বামীর দাবিকে খারিজ করে দেয় আদালত। এইসঙ্গে কুমারীত্ব পরীক্ষা নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি অজয় কুমার বর্মা।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল রাজগড়ের বাসিন্দা যুগলের বিয়ে হয়। যদিও কয়েক মাস পরে শুরু হয় অশান্তি। জুলাই মাস থেকে স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকা শুরু করে। এরপর পরিবার আদালতে মাসে ২০ হাজার টাকা খোরপোশের আবেদন জানান স্ত্রী। এইসঙ্গে আদালতে তরুণী দাবি করেন, পুরুষত্বহীন তাঁর স্বামী সঙ্গমে অক্ষম। স্বামী ও তাঁর পরিবার তাঁকে ঠকিয়েছে বলেও দাবি করেন তরুণী।

অন্যদিকে যুবকের দাবি, স্ত্রীর চরিত্র ভালো নয়। তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। পরিবার আদালত শুনানির পর স্বামীর দাবি খারিজ করে দেয়। এরপর হাই কোর্টে আবেদন করেন যুবক। তাঁর পুরুষত্বহীনতার দাবির পালটা স্ত্রীর কুমীরিত্ব পরীক্ষার দাবি জানান তিনি। যদিও হাই কোর্টেও স্বামীর দাবি খারিজ হয়ে যায়। এইসঙ্গে বিচারপতি অজয় কুমার বর্মার পর্যবেক্ষণ, কুমারীত্ব পরীক্ষা অসাংবিধানিক। এই পরীক্ষা নারীর অধিকার ও মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল রাজগড়ের বাসিন্দা যুগলের বিয়ে হয়।
  • অন্যদিকে যুবকের দাবি, স্ত্রীর চরিত্র ভালো নয়।
Advertisement