সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিকস সামিটেও সংঘাতের ছায়া। জোটের পঞ্চদশ সম্মেলনে দেখা মিলল ‘চৈনিক চালবাজি’র। বারবার ভারতের সীমান্ত লঙ্ঘন ও দক্ষিণ চিন সাগরে গা-জোয়ারি করলেও, উলটে, ইঙ্গিতে ভারত ও আমেরিকার বিরুদ্ধেই পেশিশক্তি আস্ফালনের অভিযোগ তুললেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়াকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্রিকস গোষ্ঠী (BRICS summit)। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়েছে জোটের পঞ্চদশ শীর্ষ সম্মেলন। চলবে তিনদিন। ২২ থেকে ২৪ আগস্ট । গতকাল জোহানেসবার্গে পৌঁছে যান মোদি। রয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে ভারচুয়ালি অংশ নিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ বুধবার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সামিটের প্লেনারি সেশনে জিনপিং বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের নিয়মাবলি মোতাবেক সব দেশ মিলে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক আইন তৈরি করুক ও মেনে চলুক। যার গলার জোর যত বেশি এবং পেশিশক্তিতে যে বলীয়ান তাঁর কথাই চলবে, এমনটা হতে পারে না। ব্রিকস দেশগুলির উচিত বহুত্ববাদ মেনে ও বিভেদ মুছে এগিয়ে চলা।”
[আর পড়ুন: ব্রিকস মঞ্চে পায়ের নিচে তেরঙ্গা! মোদির কীর্তিতে অভিভূত বিশ্ব]
উল্লেখ্য, বিশ্ব মানচিত্রে মহাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে চিন। সমীকরণ পালটে আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে দেশটি। তবে বেজিংয়ের ‘গ্লোবাল ডমিন্যান্স’ বা দুনিয়াজুড়ে দাদাগিরি চালানোর ছকে প্রধান অন্তরায় ভারত। এশিয়া মহাদেশে ভারত আজ বিরাট শক্তিধর এক দেশ। অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও শান্তিপ্রিয় পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে ভারতকে সম্মান করে গোটা বিশ্ব। তাই নয়াদিল্লিকে কোণঠাসা করতে এবার নতুন ছক কষেছে চিন। এবার ব্রিকস (BRICS) গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে সম্প্রসারণের দাবি জানিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ চিন সাগর, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর ও তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটছে চিন। একইভাবে, লাদাখ থেকে অরুণাচল সীমান্ত পর্যন্ত ভারতের জমিতে অনুপ্রবেশ করছে লালফৌজ। এদিন ব্রিকসের মঞ্চ থেকে কার্যত ভারত ও আমেরিকাকে বার্তা দিলেন জিনপিং।