সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এদেশের প্রাচীনপন্থীরা কেটি ডেমকোকে লগ্নভ্রষ্টা বলবেন! আচমকা বিমান বাতিলের নিজের বিয়েতেই পৌঁছতে পারেননি তিনি। কেটি ও তাঁর বাগদত্তা মিচেলের ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ হওয়ার কথা ছিল বেলিজে (Belize)। গত ২৭ ডিসেম্বর সেন্ট লুইস মিসৌরি বিমানবন্দর থেকে বেলিজের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল কনপক্ষের। সেই মতো কেটি-সহ সকলে সময় মতো হাজিরও হন বিমানবন্দরে। কিন্তু আচমকা উড়ান বাতিল করে বিমান সংস্থা সাউথওয়েস্ট (Southwest Airlines। এর ফলে বিয়ে ভন্ডুল তো হয়েছেই, পাশাপাশি কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে কনে পরিবারের।
কেউ চায় না তাঁর বিয়েতে গোলমাল হোক, কেটিও চাননি। ফলে বিমান বাতিলের পর ৭টি ভ্রমণ সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যদিও কেউ তাঁকে সাহায্য করতে পারেনি। এর পর ভাবেন কানকুনে নেমে সেখান থেকে বাসে বেলিজ় পৌঁছবেন। কিন্তু কানকুনে পৌঁছানোর মতো বিমানের ব্যবস্থা করা হয়নি বিমান সংস্থার তরফে, অভিযোগ করেন হতাশ কনে। সংবাদমাধ্যমে কেটি জানিয়েছেন, আগে থেকেই বাগদত্ত মিচেল ও তাঁর পরিবার পৌঁছে গিয়েছিল বেলিজে। তাঁরা ১৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু বিমান সংস্থার আচমকা সিদ্ধান্তের পর হাজার চেষ্টা করেও গন্তব্য পৌঁছানো সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। এর ফলেই বিয়ে ভন্ডুল হওয়ার পাশাপাশি বিরাট অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মোরবির সেতুভঙ্গ মামলায় আত্মসমর্পণ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্ণধারের]Destination
কেটির অভিযোগ, বিমান সংস্থা সাউথওয়েস্ট বিমান বাতিলের পরে ক্ষতিপূরণও দেয়নি। এছাড়াও বেলিজে আগাম রিসর্ট বুকি করা ছিল গোটা পরিবারের জন্য। তারাও এক পয়সা ফেরত দেয়নি এখনও পর্যন্ত। কেটের দাবি, সব মিলিয়ে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে তাঁদের। সংবাদমাধ্যমকে অসহায় কনে বলেন, “ঘটনার পর ৩০ ডিসেম্বর সারাদিন শুধু কেঁদেছি। বিশ্বাস করুন এমন ঘটনাই ঘটেছে। এমনটা কখনই হওয়া উচিত নয়। আমি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। গোটা ঘটনায় হতবাক অবস্থা হয় আমার। হাত-পা অসাড় হয়ে গিয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসে কোন কোন দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক? জেনে নিন তালিকা]
এদিকে বিমান বাতিল হওয়া নিয়ে সাফাই দিয়েছে বিমান সংস্থা সাইথওয়েস্ট। তারা জানিয়েছে, ওই বিমানের তিন বিমানকর্মী অনুপস্থিত থাকায় সেদিন উড়ান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন পাইলট। যদিও তার ফলে যে কারও বিয়ে ভন্ডুল হতে পারে, নিশ্চিত তেমনটা ভাবেনি উড়ান সংস্থা।