শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: কথা দিয়েও বিয়ের লগ্নে শেষ পর্যন্ত ছাদনাতলায় এসে পৌঁছলেন না বর। সেই শোকে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হল সদ্য উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ পাত্রী। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের কাঞ্চনপল্লির এলাকার ঘটনা। অষ্টাদশী পাত্রীর এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে মর্মাহত বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতরা। পাত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পাত্রীর পরিবার।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে প্রবেশিকা পরীক্ষা নয়, মাধ্যমিকের নম্বরেই অনলাইনে ভরতি নেওয়া হবে পলিটেকনিকে]
মৃতা রাখি পাসোয়ানের বাবা মাণিক পাসোয়ানের অভিযোগ করে বলেন, ”তারকেশ্বরের বাসন ব্যবসায়ী পলাশ কুণ্ডুর সঙ্গে মেয়ের বিবাহ ঠিক হয়েছিল। দাবিমতো তিন লক্ষ টাকা পণের মধ্যে দেড় লক্ষ টাকা ধার করে দিয়েছিলাম। বাকি টাকা বিয়ের পর দেওয়ার সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছিল পাত্র ও তাঁর পরিবার। সেইমত বৃহস্পতিবার বিয়ের যাবতীয় আয়োজন করে পাত্রের পথ চেয়ে অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু শেষপর্যন্ত বর না আসার দুঃসহ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে বসল মেয়ে।” রাখি মা মীরাদেবী বলেন,”ছেলের সমস্ত দাবি মেনেই বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল। দু’জনে একে অপরকে ভালোবাসত। অনেকদিনের পরিচিত। তারপরও মেয়েকে এভাবে চিরদিনের জন্য হারাতে হল।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেসবুকে পলাশের সঙ্গে রাখির পরিচয়। সেখান থেকে প্রেম এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে ঠিক হয়। তবে বিয়ের ঠিক আগে পলাশ ফোন করে রাখিকে জানায় যে সে বিয়ে করতে পারবে না। সেই ফোন পেয়েই বিহ্বল হয়ে পড়ে বছর আঠারোর রাখি। এরপরই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। দগ্ধ অবস্থায় রাখিকে নিয়ে যাওয়া হয় রায়গঞ্জ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের ধারণা, পণ সংক্রান্ত কারণেই রাখিকে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে অসম্মত হয়েছে পলাশ। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পলাশের কঠিন শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রতিবেশীরাও।
[আরও পড়ুন: অনাদরে জলের নিচে শহিদবেদী! স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দাসপুরে অবহেলার নিদর্শন]
The post পণের অঙ্ক মেটাতে পারেনি কনের পরিবার, বর বিয়ে করতে না আসায় আত্মঘাতী পাত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.