সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলেই ধন্যি মেয়ে! উত্তরপ্রদেশের ২০ বছরের এক তরুণী লকডাউনের মধ্যেই ৮০ কিমি হেঁটে কানপুর থেকে কনৌজ গেলেন। কারণটা কী? না, বিয়ে করার জন্য এতটা কষ্ট করলেন ওই তরুণী।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ৪ মে ওই তরুণীর বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে তাঁদের বিয়ে স্থগিত হয়ে যায়। এই প্রথম নয়, লকডাউনের কারণে আগেও একবার বিয়ের দিন ঠিক হয়েও শেষ মুহূর্তে তা ভেস্তে গিয়েছিল। তবে বিয়ে আটকে গেলেও লকডাউনের মধ্যেই ২৩ বছরের পাত্র বীরেন্দ্র কুমারের সঙ্গে রীতিমতো যোগাযোগ ছিল ২০ বছরের গোল্ডির। এতবার বিয়ে আটকে যাওয়ার কারণে দু’জনই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া কংগ্রেস! উপনির্বাচনে প্রচারের দায়িত্বে প্রশান্ত কিশোর]
কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। শেষপর্যন্ত পাত্র ও পাত্রী ঠিক করেন তাঁরা বিয়ে করবেন। শেষ পর্যন্ত বুধবার বিকেলে কানপুরের লক্ষণপুর তিলক গ্রামের গোল্ডি সিদ্ধান্ত নেন তিনি হেঁটেই বীরেন্দ্রদের কনৌজের বৈশ্যপুরের বাড়িতে যাবেন। আর গোল্ডির আসার খবর পেয়েই ‘পাত্র’ বীরেন্দ্রর বাড়িতে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। আর তারপর লকডাউনের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই স্থানীয় একটি মন্দিরে তাঁদের বিয়ে হয়।
দু’জনেই খুশি। বিশেষ করে বীরেন্দ্র তাঁর স্ত্রী গোল্ডির এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। বিয়ের আসরে গোল্ডির পরনে ছিল লাল শাড়ি ও বীরেন্দ্রর পরনে ছিল সাদা শার্ট ও ডেনিম। আর দু’জনের মুখে ছিল মাস্ক। বিয়েতে হাজির ছিলেন স্থানীয় এক সমাজকর্মী ও পরিবারের লোকজন। প্রসঙ্গত, লকডাউনের কারণে দেশে বহু বিয়ে ভেস্তে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: শেষ রক্ষা হল না! করোনামুক্ত সিকিমেও খোঁজ মিলল প্রথম আক্রান্তের]
The post এ যেন উলটপুরাণ! ৮০ কিমি পথ হেঁটে বিয়ে করতে গেলেন ধন্যি মেয়ে appeared first on Sangbad Pratidin.