সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের শক্তি প্রদর্শনের মিছিল পিছিয়ে গেল। আগামী ৫ জুন সাধুসন্তদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল বের করার ঘোষণা করেছিলেন ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু আপাতত স্থগিত থাকবে সেই কর্মসূচি। কুস্তিগিরদের হেনস্তার অভিযোগে বিজেপি সাংসদের গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ চলছে গোটা দেশে। এহেন পরিস্থিতিতেই স্থগিত হল ব্রিজভূষণের (Brij Bhushan Sharan Singh) মিছিল।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআরের তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। সেই জন্যই তাঁর মিছিল স্থগিত করা হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, মিছিল করার আগে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) প্রশাসনের অনুমতি নেননি বিজেপি সাংসদ। অনুমতি না নিয়েই প্রচুর সাধুসন্তকে মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মিছিলের বিষয়টি প্রচারও করেন অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ। যদিও এই মিছিল থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রেখেছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থ মহাভারতের ‘শকুনি মামা’ অভিনেতা গুফি পেন্টাল, ভরতি হাসপাতালে]
মিছিল শুরুর মাত্র তিনদিন আগেই জানা যায় আপাতত বন্ধ থাকছে এই কর্মসূচি। কবে আবার এই মিছিল শুরু হবে, সেই নিয়েও বিশদ তথ্য জানা যায়নি। তবে শুক্রবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন ব্রিজভূষণ। সেখানে অবশ্য মিছিল স্থগিত রাখার বিষয়ে কিছু বলেননি। বরং আবারও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, ব্রিজভূষণের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয় বিভিন্ন রাজ্যের সাধুসন্ত, সমাজকর্মী, আইনজ্ঞদের। জোরকদমে প্রস্তুতিও চলছিল। এই মিছিল থেকেই পকসো আইন বদলের জন্য সরকারকে চাপ দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর দাবি ছিল, “পকসো আইনের অপব্যবহার চলছে। শিশু, বৃদ্ধ, সাধু সকলেই এর ভুক্তভোগী। এমনকি আধিকারিকরাও এই অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত। তবে এবার বদলাতে হবে এই আইন। সাধুসন্তদের নেতৃত্বে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে যেন এই আইন পালটানো হয়। কোনও পরীক্ষানিরীক্ষা ছাড়াই পকসো আইন পাশ করিয়েছিল কংগ্রেস সরকার।”