সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথমবার নির্বাচনী ময়দানে ঋষি সুনাক। জানা গিয়েছে, আগামী ৪ জুলাই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। সেখানে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।
ব্রিটিশ (Britain) প্রথা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। কিন্তু ঋষির কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেই দাবি উঠছিল, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক। কারণ গত কয়েকমাসে কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি ব্রিটেনের আমজনতার আস্থা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। একের পর এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। এহেন পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে হার অবধারিত বলেই মত দলের একটা বড় অংশের।
[আরও পড়ুন: সংঘাত বাড়িয়ে প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি ইউরোপের ৩ দেশের, পালটা সম্পর্ক ভাঙল ইজরায়েল]
কিন্তু দলের মতকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা করলেন সুনাক (Rishi Sunak)। বুধবার দিনভর জল্পনা ছিল, হয়তো নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ দেশের বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা সচিবের গুরুত্বপূর্ণ সফর বুধবার সকালে বাতিল করে দেওয়া হয়। তার পর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে নিজের বাসভবনে জরুরি ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকেন সুনাক। সেই বৈঠক শেষে সুনাক জানান, "ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।" প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর নেতৃত্বেই আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পাবে দেশ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ব্রেক্সিটের পর থেকেই কার্যত ধুঁকতে শুরু করেছে ব্রিটেনের অর্থনীতি। তার পরে এই নিয়ে তৃতীয়বার সাধারণ নির্বাচন হবে ব্রিটেনে। গতবার নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বরিস জনসন। তাঁর আমলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন সুনাক। কিন্তু কোভিডের সময়ে পার্টিগেট বিতর্কে জড়িয়েছেন দুজনেই। এবার তাড়াতাড়ি নির্বাচন করিয়ে কি নিজের কুরসি ধরে রাখতে পারবেন সুনাক? উত্তর অধরা।