সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) পার্লামেন্টের ‘হাউস অফ কমনসে’ আলোচনা চলছিল নারী নিগ্রহ নিয়ে। সেই সময়ই বরিস জনসনের দলের এক এমপিকে দেখা গেল সেখানে বসেই পর্নোগ্রাফি (Adult video clip) দেখতে! এমনই অভিযোগে তোলপাড় ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহল। পার্লামেন্টের ওই সদস্যের নাম এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) এর তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে বসে পর্ন দেখা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য।
ঠিক কী হয়েছিল? ‘দ্য টাইমসে’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সেই সময় ওই হাউসে এক নির্বাচিত কমিটির শুনানি চলছিল। কয়েকজন মহিলা এমপি যৌন নিগ্রহ নিয়ে তাঁদের বক্তব্য রাখছিলেন। অভিযোগ, তখনই এক মহিলা মন্ত্রী দেখতে পান ওই সদস্য বসে বসে পর্ন দেখছেন। পার্লামেন্টের আরেক মহিলা সদস্যও অভিযোগ করেছেন, তিনি ওই ব্যক্তিকে এর আগেও একই ভাবে হাউসের মধ্যে বসে পর্ন দেখতে দেখেছিলেন। তিনি চেষ্টাও করেছিলেন সেই দৃশ্যের ছবি তুলে রাখার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।
[আরও পড়ুন: ফের রাজ্যে গরমের বলি, প্রতিবেশীর বাড়ি যাওয়ার পথে ‘সানস্ট্রোকে’ মৃত্যু বৃদ্ধার]
স্বাভাবিক ভাবেই এমন এক ঘটনায় বিস্মিত পার্লামেন্টের সদস্যরা। কনজারভেটিভ পার্টির এক এমপি পলিন লাথাম ‘বিবিসি’কে জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে উপস্থিত বহু এমপিই শিউরে উঠেছেন এই অভিযোগে। তাঁদের বিশ্বাসই হচ্ছে না, এমন এক স্থানে বসে এই ধরনের ‘কর্ম’ কেউ করতে পারে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, যদি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁকে বহিষ্কার করা উচিত। কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য হিসেবেও তাঁকে আর রাখা হবে না।
এদিকে গ্রিন পার্টির এক এমপি জানাচ্ছেন, এযাবৎ মোট ৫৬ জন এমপির বিরুদ্ধে যৌনতা সংক্রান্ত অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। এবং সেই প্রসঙ্গ তুলে তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উচিত ওই সদস্যকে বহিষ্কার করা। তাঁর এই দাবির জবাবে জনসন বলেন, এই ধরনের আচরণ অমার্জনীয়।