গৌতম ব্রহ্ম: আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের ফিট সার্টিফিকেটকে (Fit Certificate) মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। এবার থেকে সব আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দেওয়া ফিট সার্টিফিকেট অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। এই মর্মে রাজ্যকে জানিয়ে দিল উচ্চ আদালত। যার জেরে একাধিক বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত জয়ের হাসি হাসলেন রাজ্যের আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ করা আইন ছিল ১৯৬১ সাল থেকেই। কিন্তু প্রণয়ণে বারবার বাধা আসছিল। কখনও বিভিন্ন CMOH অফিস, কখনও রাজ্যের অ্যালোপ্যাথিক বিভাগ, কখনও আবার রোড ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট। রাজ্যের আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের (Ayurveda doctors) দেওয়া ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে বারবার বিড়ম্বনা বেড়েছে। শেষে এক তরুণ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক, ডাঃ কৃষ্ণেন্দু সাহা, সরাসরি এ বিষয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ এ। সেই মামলারই রায় দেওয়া হল ২৩ মার্চ, ২০২৩ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার।
[আরও পড়ুন: ‘শিক্ষিত ছেলে হোলটাইমার হলে স্ত্রীকে নিয়োগের চেষ্টা হত’, বাম আমলে সুপারিশে চাকরি নিয়ে যুক্তি রেজ্জাকের]
বিভিন্ন প্রয়োজনে BAMS বা সমতুল্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এবার থেকে অবশ্যই দিতে পারবেন মেডিক্যাল সার্টিফিকেট বা ফিট সার্টিফিকেট। সবক্ষেত্রেই তা গ্রহণ করতে হবে। কোনওভাবেই এবার সেই সার্টিফিকেট আর অগ্রাহ্য করা যাবে না। এই মর্মে রায় দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচাৰ্য।
[আরও পড়ুন: প্যান-আধার সংযোগ না করলেও হবে? কাদের জন্য প্রয়োজ্য, জেনে নিন খুঁটিনাটি]
গত বছর অর্থাৎ ২১ এপ্রিল, ২০২২ এ রাজ্যের দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তা, পরিবহণ দপ্তর, সমস্ত জেলা ও কলকাতার পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, সমস্ত জেলা আয়ুষ আধিকারিকদের এক চিঠিতে একথা রাজ্যের আয়ুর্বেদ অধিকর্তা স্মরণ করিয়ে দিলেও সেভাবে কেউই কর্ণপাত করেননি। এবার ন্যাশনাল কমিশন ফর ইন্ডিয়ান সিস্টেম অব মেডিসিন-এর নীতিগত বিষয় ও রেজিস্ট্রেশন শাখার সভাপতি এক চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ফিট সার্টিফিকেট আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা দিতে অবশ্যই পারেন। আর এতেই দীর্ঘ লড়াইয়ের পর শেষ হাসি হাসলেন রাজ্যের আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা।