সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন সহায়ক পদে ২ হাজার জনের প্যানেল বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি শুনানির আরজি খারিজ। মামলা শুনলেনই না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই মামলা শুনবেন না। চাইলে আবেদনকারী অন্য কোনও বেঞ্চে মামলা করতে পারেন। অর্থাৎ এর আগে বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের যে রায় ছিল, সেটাই বহাল রইল। নতুন করে বন সহায়ক পদে চাকরি বজায় রাখতে হলে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে তবেই ফের আবেদনের ভিত্তিতে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের।
তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) বনমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বন সহায়ক পদের নিয়োগে কারচুপি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) কাছে এই অভিযোগ জমা পড়ে। বনমন্ত্রী নিজে এ বিষয়ে জড়িত, এমনই অভিযোগ পেয়েছিলেন তিনি। আর তারপরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের তোড়জোড় শুরু হয় দল ও প্রশাসনিক স্তরে। তবে ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দল ছেড়ে দেন। দিল্লি উড়ে গিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের হাত ধরে যোগ দেন বিজেপিতে। তবে ভোটে তিনি হেরে যান। খোয়ান ডোমজুড়ের বিধায়ক পদ।
[আরও পড়ুন: ইলিশ ১৬০০, খাসি ৮৫০, জামাইষষ্ঠীর সকালে পকেট ফাঁকা শ্বশুরের]
এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। বিজেপিতে বেশিদিন থাকতে না পেরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে আসেন তৃণমূলে। তবে তাঁর আমলে বনদপ্তরের চাকরিতে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে মামলা শুরু হয়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ২ হাজার জনের প্যানেল বাতিল করা হয়। জানানো হয়, ওই প্যানেলে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা ফের নতুন করে আবেদন জানাক। নিয়ম মেনে পরীক্ষা, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এর জন্য ২ মাস সময় দেওয়া হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন জানান কয়েকজন মামলাকারী। এই নতুন পদ্ধতিতে ফের আবেদন জানানো নিয়ে আপত্তি তোলেন তাঁরা। তবে সেই মামলা শুনল না ডিভিশন বেঞ্চ।