shono
Advertisement

উপাচার্য বিল আটকে রাখায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা, হলফনামা তলব হাই কোর্টের

রাজভবন-রাজ্যের দ্বন্দ্বের মধ্য়েই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা কলকাতা হাই কোর্টে।
Posted: 05:35 PM Sep 12, 2023Updated: 07:57 PM Sep 12, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজভবন-রাজ্যের দ্বন্দ্বের মধ্য়েই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা কলকাতা হাই কোর্টে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুখ্যমন্ত্রী, এই মর্মে বিধানসভায় বিল পাশ করেছিল রাজ্য় সরকার। কিন্তু বিলটি আটকে রেখেছে রাজভবন। ফলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন জনৈক আইনজীবী। সেই মামলাতে মঙ্গলবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হলফনামা তলব করেছেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

বর্তমানে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজ্যপাল। ধনকড় জমানায় রাজ্য-রাজভবন তিক্ততার জেরে এবিষয়টি বদলে ফেলতে গত বছর জুন মাসে বিধানসভায় বিল পাশ করে রাজ্য। তা আইনে পরিণত হওয়ার জন্য় রাজ্যপালের স্বাক্ষ্র প্রয়োজন। কিন্তু সেই স্বাক্ষর এখনও করেননি রাজ্যপাল। প্রায় ১৬ মাস ধরে বিলটি রাজভবনে পড়ে রয়েছে। মামলাকারীর দাবি, বিলটি নিয়ে তিনটি পদক্ষেপ করতে পারতেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

[আরও পড়ুন: রাজ্য প্রশাসনে বড় রদবদল, একঝাঁক জেলাশাসক-পুলিশ সুপারকে বদলি নবান্নর]

এক, বিলে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করতে পারেন।
দুই, বিলে স্বাক্ষর না করে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারেন।
তিন, বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন।
কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেননি রাজ্যপাল। এনিয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন এক আইনজীবী।

সেই মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় রাজ্যপালের হলফনামা তলব করেন। আদালতে উপস্থিত কেন্দ্রের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন তুলে বিচারপতির মন্তব্য, “আমরা শুধু সময় নিয়ে ভাবছি। এই ধরনের সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের কৈফিয়ত তলব করা যায়না, সময় বেঁধে দেওয়া যায় না, কিন্তু যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধও কি আদালত করতে পারে না ?” ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানতে চায়, “যদি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয় তাহলেও কি আদালত রাজ্যপালকে কোন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ জানাতে পারে না ? সে ডানদিকে হোক, বামদিকে হোক বা কেন্দ্রে হোক, যেখানেই হোক, কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ রাজ্যপালকে আদালত জানাতে পারেন না ?” এরপরই আদালত জানিয়েছে, এই মামলার গ্রহনযোগ্যতা ও রাজ্যপাল উত্তর দিতে পারেন কি না, সেটা রাজ্যপালের দপ্তরের হলফনামার পর সিদ্ধান্ত হবে। ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। 

[আরও পড়ুন: ছাত্রের কানমলা দিয়ে ওঠবোস করানোর শাস্তি! স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের মার পরিবারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement