গোবিন্দ রায়: দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরের আইনি লড়াই। অবশেষে জয়। হাই কোর্টের নির্দেশে বকেয়া বেতন-সহ পেনশন পেতে চলেছেন এক শিক্ষক। ৩ সপ্তাহের মধ্যে ওই শিক্ষকের সুদ-সহ বকেয়া বেতন এবং ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁর পেনশন-সহ যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়।
১৯৮৬ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আদিপাড়া আম্বেদকর স্কুলে অর্গানাইজেশন শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন দীনবন্ধু পুরকায়ত। ২০০০ সালের ১০ মে স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে স্কুলে নিযুক্ত হন তিনি। ২০০৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে বেতনও পান। ওই বছরই স্থানীয় কিছু যুবকের করা মামলায় বন্ধ হয়ে যায় বেতন। এরপর থেকেই শুরু হয় আইনি লড়াই। মামলাকারি দীনবন্ধু পুরকায়তের আইনজীবী পঙ্কজ হালদার জানান, “লড়াইটা দীর্ঘদিনের। রাজ্য রাজনীতির পট পরিবর্তন হলেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের মাষ্টার মশাইয়ের।”
[আরও পড়ুন: প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বৃদ্ধের পচাগলা দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের]
পঙ্কজবাবু আরও জানান, স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে তাঁর বেতন বন্ধের মধ্যেই ২০১৪ সালে তার কর্মরত স্কুলের অনুমোদন বাতিল করে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। ফলে আরও জটিলতা সৃষ্টি হয়। স্থানীয় অন্য একটি স্কুলের তাঁদের সকলকে সংযুক্ত করা হলেও, মামলাকারী শিক্ষকের বেতন সমস্যা মেটেনি। অবশেষে তিনি ২০১৫ সালে বয়সের নিয়ম মেনে অবসর নেন।
এবার বেতনের পাশাপাশি তিনি অবসরকালীন সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন বলে অভিযোগ। ফলে আইনি জটের জেরে জোটেনি না পেনশনও। অবশেষে লড়াই করতে আবারও দ্বারস্থ হলেন হাই কোর্টে। শুক্রবার হাই কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় রাজ্য সরকারকে ওই শিক্ষকের বেতন-সহ পেনশন সুদ সহ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়ও বেধে দিয়েছে আদালত।