গোবিন্দ রায়: হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে কয়লা পাচার মামলায় সাময়িক স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁকে সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। যেহেতু এই সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাই রাজ্যের সমান্তরাল তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার নির্দেশ, আপাতত তদন্ত করতে পারবে না সিআইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের যে নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত, তা-ও আপাতত স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি, এই মামলায় সিআইডি তদন্তের কেন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে রাজ্যের কাছে তাও জানতে চেয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানিতে এনিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে ২০২০ সালে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর হয়েছিল। পরে সেই মামলায় সিআইডি নতুন করে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চায়। তবে এই মামলা সিবিআইয়ের তদন্তাধীন থাকায় সিআইডি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। পরে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও তা খারিজ হয়ে যায়। সেই মামলার ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয় সিআইডি (CID)।
[আরও পড়ুন: ‘উট চলেছে মুখটি তুলে, মন্ত্রীরা সব যাচ্ছে জেলে’, বামেদের নতুন চমক ‘দুর্নীতির বর্ণপরিচয়’]
এদিন আদালতে জিতেন্দ্রর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, গোটা কয়লাকাণ্ডের তদন্তে বর্তমানে চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেক্ষেত্রে সিআইডি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা কোথায়? একই মামলার ক্ষেত্রে দু’টি তদন্তকারী সংস্থা সমান্তরাল তদন্ত করে কীভাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আইনজীবীর দাবি, জিতেন্দ্র তিওয়ারির এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যখন বিচারাধীন রয়েছে, তখন সেই বিষয়টি গোপন রেখে নিম্ন আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।
পালটা রাজ্যের দাবি, “আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। যখন এই মামলার এফআইআর রুজু হয় তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নিয়েই হয়। সেক্ষেত্রে রাজ্য কি তদন্ত করতে পারবে না? কত মামলা সিবিআই নিষ্পত্তি করতে পেরেছে? চার্জশিটের পর চার্জশিট। সিবিআই তদন্ত করবে আর দোষ করে এঁরা স্বাধীনভাবে ঘুরবে! এটা হতে পারে না।” দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জানিয়েছে, “আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের আওতায়। কিন্তু একই ঘটনায় দু’টি তদন্তকারী সংস্থা কীভাবে তদন্ত করে? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। তাহলে এখানে সিআইডি তদন্ত কীভাবে সম্ভব!”