সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীকে ‘হিজড়ে’ সম্বোধন করা মানসিক নিষ্ঠুরতার সমতুল। এক দম্পতির বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলায় এমনই অভিমত পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের। ঘটনায় আগেই স্বামীর তরফে আবেদন মেনে ১২ জুলাই বিচ্ছেদের রায় দিয়েছিল ফ্যামিলি কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন স্ত্রী।
পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের বিচারপতি সুধীর সিং ও বিচারপতি জসজিৎ সিং বেদীর ডিভিশন বেঞ্চ, স্ত্রীর আবেদন খারিজ করে, ফ্যামিলি কোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০১৭-র ডিসেম্বরে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই বিবাদের সূত্রপাত। অভিযোগ ছিল দু’পক্ষেরই। একদিকে স্বামীর বক্তব্য ছিল–তাঁর স্ত্রী শাশুড়ির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, তাঁকে কষ্ট দেন। স্ত্রী পর্ন এবং মোবাইল গেমে আসক্ত। স্বামীকে তিনি বাধ্য করেন, রাতে অন্তত তিনবার শারীরিকভাবে মিলিত হতে। সেই সময়টুকুও রেকর্ড করে রাখতেন। স্বামীর আরও অভিযোগ, স্ত্রী তাঁকে বলতেন, তিনি শারীরিকভাবে সক্ষম নন। স্ত্রীর অন্য কাউকে পছন্দ ছিল।
ওই ব্যক্তির মায়ের অভিযোগ ছিল, পুত্রবধূ কথায় কথায় তাঁর ছেলেকে ‘হিজড়ে’ বলে সম্বোধন করতেন। এমনকী তাঁকেও বলতেন যে তিনি ‘হিজড়ে’ পুত্রের মা। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন স্ত্রী। তাঁর পালটা দাবি ছিল, জোর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যতদিন তিনি সেখানে ছিলেন, ততদিন শাশুড়ি-স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে, গলায়-হাতে তাবিজ বেঁধে নিয়ন্ত্রণে রাখতেন।