সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের (Hardeep Singh Nijjar) খুনের ঘটনায় ভারত-কানাডা কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে। যার জেরে এবার ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল কানাডা। নয়াদিল্লি আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, শুক্রবারের মধ্যে অন্তত ৪০ জন কুটনীতিককে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই কানাডা মোট ৪১ জন কুটনীতিককে ভারত থেকে সরিয়ে নিল।
গত জুন মাসে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে খুন হন খলিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর। এর পর পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) অভিযোগ করেন, খলিস্তানি নেতা খুনের নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে। এর পর থেকে ভারত-কানাডা টানাপোড়েন অব্যাহত। দুই দেশ থেকেই অপর দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়েছে। দু দেশের সম্পর্ক এতটাই তলানিতে যে, নয়াদিল্লি কানাডাকে ভারত থেকে ৪০ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয়।
[আরও পড়ুন: মামলা বেশি, লোকবল কম! চাপ সামলাতে রাজ্য পুলিশের কর্মী চাইছে CBI]
ভারতে মোট ৬১ জন কানাডিয়ান কূটনৈতিক রয়েছেন। অর্থাৎ ৪০ জনকে ফেরানো হলেও আরও ২১ জন ভারতে কাজ করবেন। এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর (Arindam Bagchi) স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, কানাডায় ভারতের যে সংখ্যক কূটনীতিক রয়েছেন, নয়াদিল্লিতে কানাডার কূটনীতিকদের সংখ্যা তার চেয়ে অনেকটাই বেশি। দুই দেশের মধ্যে সমতা রাখার জন্যই ৪০ জন কূটনীতিককে ফেরানের নির্দেশ দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, শুক্রবারের মধ্যে ৪০ জন কূটনীতিককে সরানো না হলে ২১ জন কূটনীতিক এবং তাদের পরিবার ছাড়া বাকি সকলের কূটনৈতিক সুবিধা প্রত্যাহার করা হবে।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে আগুন লাগিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! বউবাজারে গ্রেপ্তার স্বামী]
ভারতের কড়া অবস্থানের পরই বৃহস্পতিবার নিজেদের ৪১ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় কানাডা। কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি (Melanie Joly) বলেছেন, “কানাডার ২১ জন কূটনীতিক এবং তাদের পরিবার ছাড়া বাকি কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে অটোয়া। আমরা ভারত থেকে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে এসেছি।” তাঁর অভিযোগ, “যেভাবে ৪১ জন কূটনীতিকের কূটনৈতিক সুবিধা প্রত্যাহার করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল সেটা শুধু নজিরবিহীন নয়, আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থীও বটে।”