সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলবায়ুর পরিবর্তন (Climate Change)। গত কয়েক বছর ধরেই ক্রমশই উদ্বেগ বেড়েছে জলবায়ুর (Climate) দ্রুত বদলে যাওয়া নিয়ে। এর প্রভাব যে সভ্যতার উপরে ব্যাপক ভাবে শুরু করেছে তা নতুন কথা নয়। কিন্তু এবার কানাডায় (Canada) এক বৃদ্ধা আক্রান্ত হলেন এমন অসুখে যার কারণ সরাসরি ভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সম্ভবত তাপপ্রবাহ ও বাতাসের গুণগত মানের অবনমনের কারণেই প্রবল শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করেছে ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধার শরীরে। সংবাদ সংস্থা এফপি সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
ওই মহিলার শরীরে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে হাঁপানির। কিন্তু তাঁর চিকিৎসকদের দাবি, তাপপ্রবাহ ও বাতাসের খারাপ মানের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই মহিলা। ‘দ্য টাইমস কলোনিস্ট’ নামে কানাডার এক দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চিকিৎসক কাইল মেরিটের দাবি, তিনি ওই মহিলার ডায়াগনসিস তথা রোগ নির্ণয় করতে গিয়ে লিখেছেন ‘জলবায়ুর পরিবর্তন’ই ওই মহিলার অসুস্থতার কারণ।
[আরও পড়ুন: সুদূর ছায়াপথে জলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা, আছে কি প্রাণ?]
গত জুনেই উষ্ণতম তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়েছিল কানাডা। তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল প্রায় ৫০ ডিগ্রির পারদ। মারা গিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ মানুষ। তাপপ্রবাহের পরে দাবানলের প্রকোপ শুরু হয়। আকাশ ভরে যায় ধোঁয়ায়। অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন আরও মানুষ। ডাক্তাররা দেখেন, শ্বাসযোগ্য বায়ু ওই ধোঁয়াশায় প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দূষণের মাত্রা ছিল ২.৫।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ডা. কাইল বলছেন, ”আমরা যদি রোগের আসল কারণ বের না করে কেবল উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করি তাহলে আমরা ভুল করব। ওঁর ডায়াবেটিস ছিল। হৃদরোগেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর তাঁর সেই অসুখের পরিস্থিতিই আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছিল।”
এই ধরনের অসুখের পিছনে মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ী করছেন তিনি। তাঁর মতে, ”আমার মতে, মানুষ পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। রোগীদের চিকিৎসা করার সময় আমরা বুঝতে পারছি কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মানুষের পড়তে শুরু করেছে। এটা আর ভবিষ্যতের বিষয় বলে ধরে রাখলে হবে না।”