সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের মামলা দায়ের বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলার মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। এই ঘটনায় জড়িত আরও ১১২ জন। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পর থেকে একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে। এবার যেন ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে! এক সময় একের পর এক মামলার তালিকায় যুক্ত হয়েছিল খালেদা জিয়ার নাম। হত্যার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।
গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। এর পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ছাড়াও ইতিমধ্যে এক ডজনের বেশি হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবার ৯ বছর আগে খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনা-সহ ১১৩ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি হয়েছে রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও থানায়। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬ নম্বর ওয়ার্ডর সাধারণ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
[আরও পড়ুন: জরুরি সংস্কারের পরেই বাংলাদেশে নির্বাচন, আশ্বাস দিলেন ড. ইউনুস]
এই মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তেজগাঁও থানা আওয়ামি লিগের সভাপতি আবদুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলিগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমানও। ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারে খালেদা জিয়া অংশ নিয়েছিলেন। সকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সময় কারওয়ান বাজারের বাপেক্স ভবনের সামনে খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামি লিগ ও তার বিভিন্ন শাখাসংগঠনের নেতা কর্মীরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়।
আপাতত ভারতে রয়েছেন হাসিনা। কিন্তু যেভাবে একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে হাসিনার বিরুদ্ধে, তার জেরে এবার মুজিবকন্যাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ। এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন এমনটাই জানিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে খুন, অপহরণ-সহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের বহু প্রাক্তন মন্ত্রী ও আওয়ামি লিগের শতাধিক নেতা-কর্মী। এই মামলাগুলোর সংখ্যা এবার দীর্ঘ হচ্ছে। তাই স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রালয় সিদ্ধান্ত নিলে হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য দিল্লির কাছে আবেদন করবে ঢাকা।