সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) সিবিআইয়ের জালে আরও এক মিডলম্যান। প্রসন্ন কুমার রায় নামে ওই মিডলম্যান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই খবর। শুক্রবার সন্ধেয় তাকে নিউটাউন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। শনিবার তাকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আরজি জানাবে সিবিআই।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ইডি’র হাতে গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রা, গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। তারপর থেকে জালে একের পর এক অভিযুক্ত। শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে (SP Sinha) জেরা করে প্রদীপ সিং নামে এক মিডলম্যান বা মধ্যস্থতাকারীর খোঁজ পায় সিবিআই। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্রের খবর, প্রদীপকে জেরা করেই প্রসন্ন কুমার রায়ের খোঁজ পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তারপর সিবিআই নিউটাউনে হানা দেয়। শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। ধৃতকে শনিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে চলেছে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: কোলের সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে ‘গণধর্ষণ’, বাগদায় ২ বিএসএফ জওয়ানের যৌন লালসার শিকার বধূ]
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রসন্নও প্রদীপের মতো অযোগ্য প্রার্থীদের এসএসসি নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিত। তার বিনিময়ে বিপুল টাকাও নিত। তবে ঠিক কোন কোন এসএসসি নিয়োগ কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করাত সে, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। সে সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে প্রসন্নকে ইতিমধ্যে একপ্রস্থ জেরা করা হয়। গ্রেপ্তারির পর শুক্রবার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। সূত্রের কবর, হেফাজতে নেওয়ার পর প্রদীপ ও প্রসন্ন দু’জনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।
এদিকে প্রসন্ন সম্পত্তির পরিমাণও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে প্রসন্নর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সুন্দরবন, দিঘা, পুরীতে হোটেল রয়েছে প্রসন্নর। এমনকী দুবাইতেও তার হোটেল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। কীভাবে একের পর এক হোটেলের মালিক হলেন প্রসন্ন? তার আয়ের উৎস কী? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই গ্রেপ্তারি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বাংলায় এরকম মিডলম্যান আরও খুঁজে পাওয়া যাবে। বিদেশেও সম্পত্তি থাকতে পারে। যেরকম যেরকম এজেন্সির হাতে তথ্য আসছে, সেরকমভাবে তদন্ত এগোচ্ছে। জেলায় জেলায় এরকম লোক আছে। তারাই টাকা সংগ্রহ করত। তারাই তালিকা নিয়ে আসত। একটা এজেন্সির মতো সমান্তরাল সিস্টেম চালানো হত।”