shono
Advertisement

তপন কান্দু হত্যা মামলা: জেরার মুখে SDPO, নিহতের মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠাচ্ছে CBI

পুরবোর্ড গঠনের দিন পুলিশ হেনস্তার প্রতিবাদে অভিযোগ দায়ের নিহতের স্ত্রী।
Posted: 12:10 PM Apr 09, 2022Updated: 12:18 PM Apr 09, 2022

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু (Jhalda Councilor Tapan Kandu) খুনে ঝালদার এসডিপিওকে জিজ্ঞাসাবাদ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল (সিবিআই)। শনিবার সকালে ঝালদার রেঞ্জ অফিসে হাজিরা দেন তিনি। এদিন এসডিপিও (SPDO) একা নন, ক্লোজ হওয়া ৫ পুলিশকর্মী, মোবাইল টহলদারি ভ্যানের চালক তথা সিভিক ভলান্টিয়ার গনেশচন্দ্র গড়াই, মৃতের ভাইপো মিঠুন কান্দু এবং এক প্রত্যক্ষদর্শীকে ডাকা হয়েছে।

Advertisement

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঝালদার (Jhalda Murder Case) রেঞ্জ অফিসে আসেন ঝালদার এসডিপিও সুব্রত দেব। প্রায় এক ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত ওই রেঞ্জ অফিসে রয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী প্রদীপ চৌরাশিয়া। উল্লেখ্য, শুক্রবারও চার প্রত্যক্ষদর্শীকে ডেকেছিল সিবিআই।

[আরও পড়ুন: ‘ভারতকে দেখে শিখুক পাকিস্তান’, আস্থা ভোটের আগে দিল্লির ঢালাও প্রশংসা ইমরানের মুখে]

প্রসঙ্গত, তপন কান্দু হত্যা মামলায় চারজন দীপক কান্দু, কলেবর সিং, নরেন কান্দু এবং আসিক খানকে গ্রেপ্তার করেছিল রাজ্য পুলিশের সিট। এদিনই তাদের হেফাজতে নিতে চলেছে সিবিআই। পাশাপাশি, সিটের (SIT) হেফাজতে থাকা তপন এবং মিঠুন কান্দুর মোবাইলও নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মোবাইল দু’টি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, মিঠুন কান্দুর সঙ্গে আইসি সঞ্জীব ঘোষের একাদিক অডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই ফরেনসিক পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই।

 

সিবিআই ক্যাম্পে ঢুকছেন এসডিপিও, পুলিশ কর্মীরা।

 

ধৃত আসিক খানের ধূপের ব্যবসা ছিল। বিভিন্ন এলাকায় ধূপ বিক্রি করতেন তিনি। যে এলাকায় তিনি অস্থায়ী দোকান দিতেন বা যাদেরকে ধূপ বিক্রি করতেন l এদিন ঝালদা হাটতলা বাজারে সেই সকল মানুষের কাছে গিয়ে গিয়ে সিবিআই’র একটি দল বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে।

[আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তান ছেড়ে ভারতেই চলে যান’, ইমরানের দিল্লি-স্তুতির পর খোঁচা শরিফকন্যার]

পাশাপাশি অন্য একটি দল যাবে ঘটনাস্থলে। সংগ্রহ করবে সিসিটিভি ফুটেজ। খুনের ঘটনার দিন ঝালদা পুর শহরের ৩৬ সিসিটিভি ফুটেজের অধিকাংশই হাতে পায়নি সিবিআই। ফুটেজ পায়নি ঝালদা থানারও। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ কার্যালয়ে ঝালদা থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সিবিআই জানতে চাইছে, ঘটনার পর ঠিক কবে নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন? কে আগে থানায় এসেছিলেন পূর্ণিমা দেবি নাকি প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গড়াই? সুভাষ গড়াই দাবি করেছিলেন, তার কাছ থেকে অভিযোগ নেওয়ার জন্য ঝালদা থানা তাকে ১৫মার্চ ডেকে পাঠায়। কিন্তু তার অভিযোগ লিপিবদ্ধ হয় ১৪ মার্চ, যাতে পূর্ণিমা দেবীর অভিযোগ না নিতে হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতেই ঝালদা থানার সিসিটিভি ফুটেজ তলব সিবিআই-র।

এদিকে পুরবোর্ড গঠনের দিন পূর্ণিমা কান্দুকে পুলিশ হেনস্তা করেছিল বলে অভিযোগ। এদিন সেই হেনস্তার বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন কাউন্সিলরের স্ত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার