অর্ণব আইচ: চার ঘণ্টা তল্লাশির পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস অর্থাৎ নিবেদিতা ভবন থেকে বেরল সিবিআই। শনিবার অর্থাৎ গতকাল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্ষদের এক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারপরই রবিবার পর্ষদের অফিসে হানা দেন সিবিআই আধিকারিক। চার ঘণ্টা তল্লাশির পর পর্ষদ অফিস থেকে বের হন তিনি। এ বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “একজন অফিসার এসেছিলেন, নথি মিলিয়ে দেখেছেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। তদন্তেরই অংশ। নতুন কিছু না। বেশি আলোচনা হচ্ছে এটা নিয়ে।”
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শিকড়ে পৌঁছতে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একের পর এক গ্রেপ্তার হয়েছেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, এসপি সিনহা-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। রেহাই পাননি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি সকলেই। তবে এখনও পুরোপুরি রহস্যভেদ হয়নি। তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার কলকাতায় সিবিআই দপ্তরে তলব করা হয়েছিল পর্ষদের এক আধিকারিক পার্থপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি হাজিরাও দিয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ সেখানে জেরা করা হয় তাঁকে। শোনা যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই জেরা করা হয় পার্থপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়কে।
[আরও পড়ুন: ‘অভিষেকের গ্রেপ্তারি শুধু সময়ের অপেক্ষা’, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর, পালটা জবাব তৃণমূলের]
সেই ঘটনার পরদিনই অর্থাৎ রবিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে যায় সিবিআই। সেখানে তল্লাশি চালান এক আধিকারিক। পর্ষদের অফিসে তদন্তে প্রয়োজনীয় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছিল। প্রায় টানা ৪ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ নিবেদিতা ভবন থেকে বের হয় সিবিআই। এ বিষয়কে নিয়ে অতিরিক্ত আলোচনা হচ্ছে বলেই দাবি পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের।