অর্ণব আইচ: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার সিবিআইয়ের (CBI) নজরে তৃণমূলের তারকা বিধায়ক অদিতি মুন্সির (Aditi Munshi) স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী। একটি খুনের মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এদিন বেলা ১১টায় তাঁকে সিবিআই অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। দেবরাজ নিজেও বিধাননগরের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর এবং মেয়র পারিষদ। তিনি সময়মতোই সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন। ঘণ্টা দুয়েক ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
গত বছরের জুন মাসে বাগুইআটির (Baguiati) সুকান্তপল্লি এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রসেনজিৎ দাস নামে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। ভোরে তাঁর ঘরেই মৃতদেহ দেখতে পান প্রসেনজিতের বাবা-মা। তাঁদের দাবি, ছেলের হাতে সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, চেনা পরিচিত কেউ ধরে ঢুকে প্রসেনজিৎকে খুন করেছে। বছর তিরিশের যুবক এলাকা ইমারত সামগ্রী সরবরাহ করতেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার (Post Poll Violence) তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর সেই হত্যাকাণ্ড এবার সিবিআইয়ের নজরে।
[আরও পড়ুন: বিলকিস কাণ্ডে দোষীদের মুক্তিতে সম্মতি দেয় কেন্দ্র, শীর্ষ আদালতে জানাল গুজরাট সরকার]
সিবিআই সূত্রে খবর, সেই ঘটনা সম্পর্কে দেবরাজ চক্রবর্তীর কাছে কতটা তথ্য রয়েছে, প্রসেনজিৎকে কতটা চিনতেন, সন্দেহের তিরে কারা কারা – এই সমস্ত জানতেই দেবরাজকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এদিন বেলা ১১টায় তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সামনে হাজির হন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীরা। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার আগে তিনি বলেন, ”আমি তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছি। এখনই কিছু বলতে চাই না। আবার ডাকলে আবারও আসব।”
[আরও পড়ুন: পরীক্ষার আগেই ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছে যেত প্রশ্ন! টেট দুর্নীতির তদন্তে ইডির হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
দেবরাজের রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘদিনের। কংগ্রেস কর্মী ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময় তৃণমূলে যোগদান করেন। যুব তৃণমূল নেতা হিসেবে এলাকায় বেশ নাম রয়েছে গায়িকা তথা তারকা বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামীর। এই মুহূর্তে বিধাননগর পুরনিগমের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী। তবে প্রসেনজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডে তাঁকে ঠিক কী কারণে তলব করল সিবিআই, তা বুঝতে পারছেন না দেবরাজ ঘনিষ্ঠরা।