সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের মধ্যযুগের ইতিহাস নিয়ে প্রদর্শনীতে ঠাঁই হল না মুসলিম রাজবংশগুলির (Muslim Dynasty)। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিক্যাল রিসার্চ (Indian Council of Historical Research) মধ্যযুগের রাজবংশগুলিকে নিয়ে তথ্য ভিত্তিক একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সেখানেই বাদ গিয়েছে মুসলিম রাজবংশগুলি। আয়োজক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের যুক্তি, এদের ভারতীয় রাজবংশ বলা যায় না। কারণ এরা মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছিল।
প্রদর্শনীটি চলছে দিল্লির (Delhi) ললিতকলা অ্যাকাডেমিতে (Lalit Kala Academy)। সেখানে মধ্যযুগের ৫০টি রাজবংশের শাসনকালের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মূলত অষ্টম থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর রাজবংশগুলির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীতে। সেখানেই ঠাঁই হয়নি বাহমনি, আদিল শাহির মতো রাজবংশগুলির। এই বিষয়ে আইসিএইচআরের (ICHR) সম্পাদক অধ্যাপক উমেশ অশোক কদমের সাফ জানান, মুসলিম রাজবংশগুলিকে ভারতীয় রাজবংশ বলে মনে করি না। তাঁর কথায়, “এরা মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছিল। এদের সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতির সরাসরি সম্পর্কে নেই।” আরও অভিযোগ করেন, “মধ্যযুগে ইসলাম ও খ্রিস্টান রাজবংশগুলি এদেশে ঢুকে ভারতীয় সভ্যতাকে ধ্বংস করেছে।” শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীরও মন্তব্য, ইতিহাসকে ‘পরিচ্ছন্ন’ করে তুলতে হবে আমাদের। উল্লেখ্য, ললিতকলা অ্যাকাডেমির প্রদর্শনীটি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি অবধি চলবে।
[আরও পড়ুন: এবার মোদি সরকারের নজরে বেসরকারি টিভি চ্যানেল, বেঁধে দেওয়া হল নয়া গাইডলাইন]
বিরোধীদের বক্তব্য, ভারতের ইতিহাস নিজেদের ইচ্ছে মতো লেখার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ফলে তারা নাম বদলের খেলায় মেতেছে। দিন দুয়েক আগে রাষ্ট্রপতি ভবনের ঐতিহাসিক মোঘল গার্ডেনের নামবদল হয়েছে। নয়া নামকরণ হয়েছে অমৃত উদ্যান। ফের নাম পরিবর্তন হল রাজধানী দিল্লির আরও এক মোঘল গার্ডেনের। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) তরফে সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসে যে মোঘল গার্ডেন রয়েছে, এবার তারই বদলে রাখা হল ‘গৌতম বুদ্ধ সেন্টেনারি’ (Gautam Buddha Centenary) গার্ডেন।
[আরও পড়ুন: শিষ্যাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু, মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা]
তাদের ব্যাখ্যা, এই বাগানটি একেবারেই মোঘলদের আদলে তৈরি বাগানের মতো দেখতে নয়। মোঘলদের তৈরি বাগানগুলির বৈশিষ্ট্য সাধারণত একইরকম হয়ে থাকে। বাগানের ধারে ছোট খাল থাকে যেখানে বছরভর জল সরবরাহ হয়, দু’প্রান্তে কৃত্রিম ঝরনা থাকে। পিচ ও লিচুর বাগান থাকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের এই বাগানে এমন কোনও বৈশিষ্ট্যই নেই। সেই কারণেই নাম বদলের সিদ্ধান্ত।