স্টাফ রিপোর্টার: গ্রামে গ্রামে শৌচাগার তৈরি এবং পানীয় জল পৌঁছনোর কাজের গতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় সচিব। স্বচ্ছ ভারত মিশন এবং জলজীবন মিশনের কাজ খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই রাজ্যে এসেছেন জলশক্তি মন্ত্রকের প্রধান সচিব বিনি মহাজন। শুক্রবার হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর চব্বিশ পরগনার একাধিক জায়গায় যান। আর তার পর শনিবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকার সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজ্যের কোন জেলায় এই দুই প্রকল্পের কাজ কতদূর হয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়।
নবান্ন সূত্রে খবর, সেখানে সন্তোষ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় সচিব। সেই দলে ছিলেন কেন্দ্রের আরও দুই আধিকারিক। উল্লেখ্য, স্বচ্ছ ভারত মিশনের কাজে দিল্লির প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলা। আর শুক্রবারই জলজীবন মিশন প্রকল্পে প্রায় হাজার কোটি টাকা পেয়েছে বাংলা। এই প্রকল্পে অর্থ পেতে কোনও সমস্যা না হওয়ারই ইঙ্গিত মিলেছে এদিনের বৈঠকে। নবান্নের এক কর্তার কথায়, ঘরে ঘরে জল সংযোগের মতো প্রত্যেক বাড়িতে শৌচাগার তৈরির কাজও গোটা দেশে চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এদিনের বৈঠকে সমস্ত জেলাশাসকরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সচিব প্রত্যেককে মনে করিয়ে দেন, দুই প্রকল্পের কাজে আরও গতি আনতে হবে। সময়ের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। এবিষয়ে তিন জেলাশাসককে সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর। তাঁদের জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট ডেডলাইন ধরে কাজ শেষ করতে।
[আরও পড়ুন: রাজ্য বাজেটে নারী ক্ষমতায়নে বিশেষ নজর? বরাদ্দ বাড়বে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র?]
সামনেই লোকসভা ভোট, তাই ভোটের আগে যত বেশি সংখ্যক মানুষকে পরিষেবা দিতে চাইছে কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারই। তাই দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের। ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে শুরু হয় স্বচ্ছ ভারত মিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ, চলবে ২০২৪-২৫ সাল পর্যন্ত। জলশক্তি মন্ত্রক মাস তিনেক আগে রাজ্যকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, ঘরে ঘরে শৌচালয় তৈরি এবং কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকাঠামো গড়ার প্রশ্নে এ রাজ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অগ্রগতি ‘সেরা’-র তালিকায় জায়গা পেয়েছে। পঞ্চায়েত দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ‘ওডিএফ-প্লাস’ তকমা পেয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি গ্রাম। নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস বা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ এখনও বন্ধ থাকলেও, স্বচ্ছ ভারত মিশন-সহ অন্য একাধিক প্রকল্পে তা চালু রয়েছে। জেলায় জেলায় কাজও চলছে দ্রুতগতিতে।