সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছু দিন আগেই “মন কি বাত” অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, অক্ষরে অক্ষরে তেমনটাই হল। এবার থেকে ১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার (Birsa Munda) জন্মদিবসটিকে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ (Janjatiya Gourav Diwas) হিসেবে পালন করা হবে দেশে। এই বিষয়ে এদিনই সরকারি ভাবে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রনালয়।
আগামী বছরের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। যেখানে ক্ষমতা দখলে দলিত ভোটের কার্যকর ভূমিকা থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কথা ভাল করেই জানা রয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ঐতিহাসিক আদিবাসী বিপ্লবী তথা সমাজ সংস্কারক বিরসা মুন্ডাকে উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগেভাগে বিশেষ ভাবে সম্মানিত করার বিষয়টি মোটেই কাকতালীয় নয়। এর মধ্যে সূক্ষ্ম রাজনৈতিক অঙ্ক থাকাটাই স্বাভাবিক।
[আরও পড়ুন: পুরভোটের আগেই ফের ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক, অমিত শাহর সঙ্গে সরাসরি দ্বৈরথের সম্ভাবনা]
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’-এর কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “১৫ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর, এই এক সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে বিরসা মুন্ডার জন্মদিবস তথা ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ পালিত হবে। এই সময় আদিবাসীদের গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণ করা হবে। এইসঙ্গে উদযাপন করা হবে ভারতের আদিবাসী তথা জনজাতির ঐতিহ্যশালী সংস্কৃতিকেও।”
[আরও পড়ুন: চলতি বছর থেকেই ফের এমপি-ল্যাডের টাকা পাবেন সাংসদরা, ঘোষণা কেন্দ্রের]
উনিশ শতকের ব্রিটিশ ভারতে জন্ম হয়েছিল বিরসা মুন্ডার। তিনি ছিলেন মুন্ডা জনজাতির গরিমাময় ব্যক্তিত্ব। বিরসা মুন্ডার জন্ম হয় ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বরে। বিহার ও ঝাড়খণ্ড অঞ্চলে আদিবাসী মুন্ডাদের সংগঠিত করে অত্যাচারী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি সমাজ সংস্কারের কাজেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কালে কালে মুন্ডা জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে তিনি বিরসা ভগবান হয়ে ওঠেন। উল্লেখ্য, ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ যেদিন পালিত হবে, সেদিনই পালিত হবে ‘ঝাড়খণ্ড প্রতিষ্ঠা দিবস’।