সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় বায়ুদূষণের (Air Pollution) মতো গুরুতর সমস্যা রোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানানো হল যে আইনের সাহায্য নিয়ে স্থায়ী কমিটি নিয়োগের পরিকল্পনা হয়েছে। দ্রুতই পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং নজরদারির জন্য তা করা হবে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে এই আশ্বাস পাওয়ার পর শীর্ষ আদালতের নির্দেশে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন লোকুরের নেতৃত্বে যে এক সদস্যের কমিটি তৈরি হয়েছিল, তার কার্যকারিতা খারিজ করে দেওয়া হয়।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দিল্লি সংলগ্ন এলাকায় (NCR) প্রতি বছর শীতের আগে খেতের নষ্ট হওয়া ফসল পোড়াতে গিয়ে তীব্র বায়ুদূষণ হয়। সেই ধোঁয়ায় শীতের কুয়াশাঘেরা দিল্লিতে দূষণের মাত্রা অনেকটা বাড়ে। রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষজনের দৈনন্দিন জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ে। এ নিয়ে আগেও বহুবার দিল্লি ও পাঞ্জাব, হরিয়ানা সরকারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। একে অপরের উপর দোষ চাপিয়েছে। কিন্তু স্থায়ী সমাধান কিছুই হয়নি। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে এ নিয়ে নজরদারির জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন বি লোকুরকে নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন: কয়লা ব্লক বন্টনে দুর্নীতির জের, ৩ বছরের জেল বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্যের]
তবে এবার কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্রই এ নিয়ে স্থায়ী কমিটি নিয়োগ করে সমাধানের পথে হাঁটবে। এদিন তাঁর বক্তব্য শুনে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, ”এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এ বিষয়ে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হত। এটা জনস্বার্থ মামলার বিষয় নয়। বায়ুদূষণের ফলে সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। দ্রুত এর সমাধান প্রয়োজন।”
[আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মেহবুবা মুফতির, দল ছাড়লেন তিন নেতা]
কৃষিজমিতে খড়কুটো পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণের সমস্যা রক্ষা থেকে অতি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এই মুহূর্তে অতি প্রয়োজনীয়। কারাণ, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে দূষণের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বাড়বে। পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, বায়ুদূষণের সমস্যা মেটাতে এনভায়রনমেন্ট পলিউশন অথরিটি যে কাজ করছিল, স্থায়ী কমিটি তৈরি হলে এই সংস্থাকেও আর কাজ করতে হবে না। মূল লক্ষ্য একটাই – চলতি বছর শীতের আগে এই সমস্যার এক কার্যকরী সমাধানের রাস্তা বের করা। এখন কেন্দ্র এই কাজ কত দ্রুত করতে পারে, সেটাই দেখার।